জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডন: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি,জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৭ই মে ২০২৫ ইংরেজী পূর্ব লন্ডনের হ্যাসলস স্ট্রিটের একটি কমিউনিটি হলে এক আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি
হরমুজ আলীর সভাপতিত্বে এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরীর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নঈম উদ্দিন রিয়াজ, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মারুফ আহমদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক শাহ শামীম আহমদ, প্রবাস বিষয়ক সম্পাদক আনসারুল হক, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক অসম মিসবাহ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ফয়জুর রহমান খান,লন্ডন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ময়নুল হক,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আফসার খান সাদেক, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমদ খান,স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি সাহেদ আহমদ সাদ, যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমদ খান সহ প্রমুখ।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া পরিচালনা করেন মৌলানা হাফিজ জিলু খান,সমাবেশে বক্তারা উল্লেখ করেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৭ ই মে ১৯৮১ সালে ফিরে না আসলে বাংলাদেশ এর ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ কখন যেতে পারতো না। নেত্রী বাংলাদেশে আসার কারনে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আওয়ামী ক্ষমতায় এসেছিল। এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারো আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াবে। এবং শেখ হাসিনা আবার ও প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেশে ফিরবেন।তখন কুটি মানুষ উনাকে স্বাগত জানাবে। ইনশাল্লাহ।এদিকে বৃটেনের ওয়েলস এর রাজধানী কার্ডিফ শহরে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ওয়েলস শাখারপক্ষ থেকে গত ১৮ ই মে রোববার দূপুর ২ ঘটিকায় জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ইউকে ওয়েলস আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং ওয়েলস আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এম.এ.মালিক এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম নজরুল, সহ সভাপতি এস এ রহমান মধু,
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মর্তুজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মল্লিক মোসাদ্দেক আহমেদ, দফতর সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আনোয়ার, আইন বিষয়ক সম্পাদক হারুন তালুকদার,ওয়েলস যুবলীগের সাবেক সভাপতি জয়নাল আহমদ শিবুল, সাবেক যুবনেতা আব্দুল ওয়াহিদ বাবুল, বদর উদ্দিন চৌধুরী বাবর, ওয়েলস যুবলীগের সভাপতি ভিপি সেলিম আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল কালাম মুমিন, সহ সভাপতি রকিবুর রহমান, ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ বি রুনেল, সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ নেতৃবৃন্দ ও প্রাক্তন ছাত্রনেতারা বক্তব্য রাখেন।বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। এই দিনটি শুধু একজন নেত্রীর দেশে ফেরার স্মৃতি নয়, একটি জাতির আবার নিজের পিতার স্বপ্নকে খুঁজে পাওয়ার দিন। ১৯৭৫-এর পঁচাত্তরের বিভীষিকার পর, যখন বাংলাদেশ নেতৃত্বহীন, গণতন্ত্রহীন এবং প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির দখলে, ঠিক তখনই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ফিরে আসেন, হৃদয়ে বয়ে আনেন আলোকবর্তিকা—তাঁর কথায়, “আমি এসেছি দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে।”
সেই শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশকে অন্ধকার থেকে উন্নয়ন, প্রযুক্তি ও বৈশ্বিক কূটনীতির পথে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, হঠাৎ ভূমিকম্প হওয়ার মতো তা যেন ধ্বংসের মুখে।বক্তারা আরও বলেন আজ আমরা এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি সীমান্ত অস্থিরতা, রাখাইন_করিডোরের নামে সার্বভৌমত্ব হরণ করা হচ্ছে অর্থনীতির ভাঙন, গার্মেন্টস বন্ধ, বেকারত্বের ভয়াবহতা লাগামহীন, রাজনীতিতে মব শাসন, বিচারহীনতা এবং গণমাধ্যমের অবরুদ্ধতা ভয়াবহকূটনীতিতে বাংলাদেশ ক্রমাগত নিঃসঙ্গ, প্রভাবশালী বন্ধু রাষ্ট্রগুলো মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে—কে ফিরিয়ে আনবে মানুষের আস্থা, নিরাপত্তা ও নেতৃত্ব? কার কণ্ঠে এখনও সেই ক্ষমতা আছে যা শুনলে সাধারণ মানুষ আশ্বস্ত বোধ করে? বক্তারা দৃঢ়তার সাথে বলেন আমরা বিশ্বাস করি শেখ হাসিনা এই জাতির জন্য কেবল একজন রাজনীতিক নন, তিনি এই রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও সার্বভৌমত্বের একটি ছায়া—যার অভাবে রাষ্ট্র আজ নিঃস্ব, দ্বিধান্বিত এবং বিচ্ছিন, দেশের বাস্তবতার আলোকে শেখ হাসিনার ফিরে আসা এখন ইতিহাসের অনিবার্য দাবিতে পরিণত হয়েছে। এবং আমরা,যারা দেশকে ভালোবাসি—তারা কীভাবে এই আহ্বানকে তুলে ধরতে পারি এই লক্ষ্যে দেশে বিদেশে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন।