বর্ধিত সময়েও শর্ত পূরণ করতে পারেনি ৬৫ দল
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেতে গত ২২ জুন পর্যন্ত ১৪৫টি দল আবেদন করেছিল। তবে প্রাথমিক বাছাইয়ে কোনো দলই শর্ত পূরণ করতে পারেনি। তাই জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ১৪৫টি দলকেই প্রয়োজনীয় ঘাটতি পূরণে আরও ১৫ দিন সময় দিয়েছিল ইসি। রোববার (৩ আগস্ট) বিকেল ৫টায় সে সময় শেষ হয়েছে। এসময়ের মধ্যে এনসিপিসহ ৮০টি দল শর্তপূরণ করে তাদের তথ্য ইসিতে জমা দিয়েছে। কিন্তু বাড়তি পেলেও শর্ত পূরণ করতে পারেনি বাকি ৬৫দল। ফলে তাদের নিবন্ধন পাওয়ার আর সুযোগ থাকছে না।
ইসির পরিচালন (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলম জানান, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য ১৪৫টি দল নির্বাচন কমিশনে আবেদন দাখিল করে। দাখিলকৃত আবেদন যাচাই বাছাইঅন্তে কাগজপত্রাদির ঘাটতি পরিলক্ষিত হওয়ায় ঘাটতি সংক্রান্ত কাগজপত্রাদি ৩ আগস্টের মধ্যে দাখিলের জন্য অর্থাৎ ১৫ দিন সময় দিয়ে ১৪৫টি দলকে পত্র প্রেরণ করা হয়। যার মধ্যে মোট ৮০টি দল ঘাটতি সংক্রান্ত কাগজপত্রাদি নির্বাচন কমিশনে দাখিল করে।আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয় জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়। এছাড়া কোনো দলের কেউ আগে সংসদ সদস্য থাকলে বা আগের নির্বাচনের পাঁচ শতাংশ ভোট পেলেও নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। এ প্রধান শর্তগুলো ছাড়াও বেশকিছু নিয়ম কানুন মেনে আবেদন করতে হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ে এসব নিয়ম কানুনগুলোই সাধারণত খেয়াল করা হয়।
নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় দলগুলোর আবেদন পাওয়ার পর কমিশন প্রথমে এগুলো প্রাথমিক বাছাই করে। এরপর সেই দলগুলোর তথ্যাবলি সরেজমিন তদন্ত শেষে বাছাই সম্পন্ন করে দাবি আপত্তি চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় কমিশন। সেখানে কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করা হয়। আর কোনো আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করে ইসি। নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল নিজ প্রতীকে ভোটে প্রার্থী দিতে পারে না।বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫১টি (আওয়ামী লীগসহ)। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করে ইসি।
দলগুলো হলো- জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা। সম্প্রতি আদালতের আদেশে জামায়াতে ইসলামী ও জাগপা নিবন্ধন ফিরে পেলেও ইসি কেবল জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিয়েছে।