বিশ্বনাথে শিক্ষা বোর্ডের আদেশ নিয়ে মাদ্রাসায় ঢুকতে পারেননি অধ্যক্ষ

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের তেলিকোনা এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু তাহির মোহাম্মদ হোসাইন মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের দেয়া ছুটির স্থগিতাদেশ নিয়েও মাদরাসায় ঢুকতে পারেননি। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা জানান, ৩ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে অধ্যক্ষ আবু তাহির মোহাম্মদ হোসাইন হাইকোর্টের দেয়া তার ছুটির স্থগিতাদেশ নিয়ে মাদরাসায় যান। কিন্তু ওই মাদরাসার এডহক কমিটির সাবেক আহবায়ক নিজামুল ইসলাম, কয়েকজন শিক্ষক ও স্থানীয় কয়েকজন উগ্রপন্থী লোক তাকে মাদরাসায় ঢুকতে দেননি।এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত মুরব্বিয়ানদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আবু তাহির তার ছুটির স্থগিতাদেশ দেখিয়ে বলেন, বিধিবহির্ভূত ভাবে প্রায় ৫ মাস পূর্বে জোর করে এডহক কমিটির সাবেক আহবায়ক নিজামুল ইসলাম তাকে ৪ মাসের ছুটি দেন। তিনি এই প্রতিবন্ধকতার নিরসন চেয়ে শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করেন। এরপর তিনি হাইকোর্টেও আবেদন করেছেন।

তার এই আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট আবেদনটি নিস্পত্তির আদেশও দেন। আবেদনটি নিস্পত্তির লক্ষ্যে এডহক কমিটির সাবেক সভাপতিকে নোটিশ প্রদান করা হলে তিনি জবাবও দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষের আবেদন এবং সাবেক সভাপতির জবাব পর্যালোচনা করে দেখা যায় বিধিবহির্ভূতভাবে অধ্যক্ষকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।ইতোমধ্যেই তার ছুটির ৪ মাস অতিক্রমও হয়েছে। তাই তিনি মাদরাসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন মর্মে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানিয়ে এবং হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক অধ্যক্ষ কর্তৃক আবেদন নিস্পত্তি করা হয় বলে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ওই আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর হলে তাই নিয়ে তিনি রোববার দায়িত্ব পালনের জন্য মাদরাসায় গেলে তাকে অফিস কক্ষে ঢুকতে দেয়া হয়নি।এদিকে জানতে চাইলে এডহক কমিটির সাবেক আহবায়ক নিজামুল ইসলাম বলেন, অধ্যক্ষ মাদরাসার হিসেব না দেয়ায় তাকে ৪ মাসের জন্য ছুটি দেয়া হয়। আর এই ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে বহিস্কারও করা হয়েছে। তাই তাকে মাদরাসায় ঢুকতে দেননি।এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম জানান, মাদরাসার উভয়পক্ষকে থানায় আসার জন্য বলেছেন। বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

You might also like