মনপুরায় বিএনপির দুই পক্ষের মারামারি
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ভোলা: ভোলার মনপুরায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতের এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।ভোলা-৪ (চরফ্যাসন-মনপুরা ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম এবং কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে সাবেক সংসদ সদস্য রাজনৈতিক সফরে মনপুরায় আসেন। তিনি অসহায় সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন। সন্ধ্যায় পূর্বনির্ধারিত কর্মী সভা ও ইফতার অনুষ্ঠান শেষে তিনি হাজিরহাট বাজারে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে যান। ওই সময় কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নরুল ইসলাম নয়ন গ্রুপের সমর্থকরা মিছিল বের করে।একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মুখোমুখি হলে নেতাকর্মীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় নয়ন গ্রুপের হামলায় আলম গ্রুপের তিনজন আহত হন। পরে নয়ন গ্রুপের সংঘবদ্ধ নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে হাজিরহাট উত্তর বাজার ও হাসপাতালে দুই দফা হামলা চালায়।এ সময় সেখানেও সংঘর্ষে জড়ায় দু’পক্ষ।
হামলায় আহতরা হলেন- আরাফাত রহমান কোকো পরিষদের সভাপতি মো. আবদুর রহিম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লোকমান মেম্বার, ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দুলাল,ছাত্রদল নেতা শাহিন আলম, আবুল কাশেম, সাবিত ও সোহেল। বাকি আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ ও নৌ-বাহিনীর সদস্যরা।মনপুরা থানার ওসি আহসান কবির বলেন, হাজিরহাট উত্তর বাজার ও হাসপাতাল দুই দফা মারামারি হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িতরা নাজিম উদ্দিন আলম ও নুরুল ইসলাম নয়ন গ্রুপের।এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।সংঘর্ষের জন্য একে অপরকে দোষারপ করছে দুই গ্রুপ। আলম গ্রুপের সমর্থক উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন মেম্বার বলেন, ‘আমি বিএনপির পার্টি অফিস থেকে বের হয়। এ সময় আপ্পান হাওলাদার আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হোন্ডা থেকে নামিয়ে মারধর করে। আমাদের নেতাকর্মীরা বাধা দিতে আসলে তাদেরকেও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়।নয়ন গ্রুপের নেতা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান হাওলাদার বলেন, ‘ইফতার শেষে নাজিম উদ্দিন আলম চলে যাওয়ার পরে তাদের সমর্থকরা মিছিল নিয়ে বাজারে যায়।এ সময় আলম সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা করে।এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন বাচ্চু চৌধুরী বলেন,বিএনপির সাবেক সম্পাদক মান্নান হাওলাদারের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়।সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলম যতবার মনপুরায় রাজনৈতিক সফরে এসেছেন ততবার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। তারা আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।