রাজপরিবারে ফিরতে চান প্রিন্স হ্যারি
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
যুক্তরাজ্যে: ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স হ্যারি নিজের পরিবারে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।তবে যুক্তরাজ্যে স্ত্রী,সন্তানদের নিয়ে পা রাখা অসম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি। মূলত ব্যক্তিগত সুরক্ষা বাতিল হয়ে গেছে তার। আর সে কারণে যুক্তরাজ্যে আসা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের জন্য।এ ছাড়া বাবা রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি ঠিক করে ফেলার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন প্রিন্স হ্যারি। বিবিসিকে দেওয়া এক আবেগঘন সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন বলছে, প্রিন্স হ্যারির ব্যক্তিগত সুরক্ষা বাতিল হওয়ার ইস্যুটি গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। পরে আইনি লড়াইয়ে হেরে যান তিনি। রাজা তৃতীয় চার্লস এসব ইস্যুতে প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন।
বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘জীবন মূল্যবান’ উল্লেখ করে প্রিন্স হ্যারি বাবার সঙ্গে সব কিছু ঠিক করে ফেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। চার্লসের ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়েও তিনি উদ্বিগ্ন। বাবা কত দিন বেঁচে থাকবেন, সে বিষয়টিও তাকে ভাবায় বলে জানান।বিবিসিকে সাক্ষাৎকারটি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে দিয়েছেন ৪০ বছর বয়সী হ্যারি। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে আমার পক্ষে পরিবারকে নিরাপদে যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। … আমি আমার দেশকে ভালোবাসি। দেশের অনেকে অনেক কিছু করার পরও সব সময় ভালোবেসেছি। আমার যুক্তরাজ্যের কথা মনে পড়ে এবং এটি সত্যিই দুঃখজনক যে, আমি সন্তানদের নিজের মাতৃভূমি দেখাতে পারব না।
২০২০ সালে রাজপরিবারের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর হ্যারির নিরাপত্তা সুবিধা বাতিল হয়ে যায়। তাকে সাধারণ সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়। হ্যারির দাবি, রাজপরিবারের সুরক্ষাদান সংশ্লিষ্ট নির্বাহী কমিটি এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিষয়টিকে যথেষ্ট পরিমাণে খতিয়ে দেখেনি, কোনো ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বোর্ড গঠন হয়নি তখন।প্রিন্স হ্যারি জানান যে, রাজা চাইলে এটি সমাধান করতে পারেন। হ্যারি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি শুধু আমন্ত্রিত হলেই নিরাপদে যুক্তরাজ্যে আসতে পারি। আর আমার বাবার হাতে অনেক নিয়ন্ত্রণ ও সক্ষমতা রয়েছে। হ্যারি আরও বলেন, এটি তার (রাজা তৃতীয় চার্লসের) মাধ্যমেই সমাধান হতে পারে। হস্তক্ষেপ করার মাধ্যমে নয়, সরে দাঁড়ানোর মাধ্যমে এবং যেটি জরুরি,বিশেষজ্ঞদের সেটি করতে দিয়ে- আর তা হলো ঝুঁকি খতিয়ে দেখার মতো বোর্ড গঠন। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান