শেয়ারবাজারে পতন অব্যাহত, নিঃস্ব বিনিয়োগকারীদের আর্তনাদ

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ বাংলাদেশের শেয়ারবাজার এখন যেন এক অন্ধকার গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে। গত আট মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা বাষ্পীভূত হয়ে গেছে,যা দেশের ৩০ লাখ বিনিয়োগকারীর জীবনসঞ্চয়কে তছনছ করেছে। শেয়ারবাজারের বর্তমান চিত্র যেন এক কঠিন সংকটের ইঙ্গিত।রাজধানী ঢাকার মতিঝিলের রাস্তায় বিনিয়োগকারীদের কান্না,ক্ষোভ এবং হতাশা প্রতিদিনই বাড়ছে।গত ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে শত শত বিনিয়োগকারী প্রতিবাদ মিছিল করেন, বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করে।কিন্তু তাদের এই আর্তনাদ কি কারও কানে পৌঁছেছে?

শেয়ারবাজারের এই ধারাবাহিক পতনের পেছনে রয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অদক্ষতা, স্বচ্ছতার অভাব এবং কিছু প্রভাবশালী গোষ্ঠীর কারসাজি। বিএসইসি সম্প্রতি এই পতনের কারণ খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করেছে, কিন্তু বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, এটি কেবল সময়ক্ষেপণের কৌশল। এক বিনিয়োগকারী বলেন,আমার জীবনের সঞ্চয় শেষ।যারা বাজারে কারসাজি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেই।বিএসইসি কি আমাদের সঙ্গে তামাশা করছে?বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে।এক পোস্টে বলা হয়েছে, “মাত্র পাঁচ দিনে ৭ হাজার কোটি টাকা গায়েব!কোনো অর্থনীতিবিদ বা বিশ্লেষক এ নিয়ে কথা বলেন না। এটা কি শুধু আমাদের দুর্ভাগ্য?” শেয়ারবাজারের এই পতনের কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক এবং হতাশা বিরাজ করছে, এবং অনেকে এখন শেয়ারবাজারকে “লুটেরার খেলার মাঠ” হিসেবে অভিহিত করছেন।অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, বাস্তবে তেমন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শেয়ারবাজারের সংস্কার, স্বচ্ছ নীতিমালা এবং কঠোর নজরদারি ছাড়া এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, যখন লাখ লাখ মানুষের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে, তখন কি শুধু কমিটি গঠনই যথেষ্ট? বিনিয়োগকারীরা এখন একযোগে দাবি করছেন— “বাঁচাও শেয়ারবাজার, বাঁচাও আমাদের জীবন!

You might also like