সিলেট বিভাগের ১৯ আসনে প্রার্থী ১৫৫ জন
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে ১৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ছিলো মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। তাৎক্ষণিক বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের ৬টি আসনে ৫২ জন, সুনামগঞ্জের ৫টি আসনে ৪০ জন, মৌলভীবাজারের ৪টি আসনে ৩২ জন এবং হবিগঞ্জের ৪টি আসনে ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ।
সব ক’টি আসনে আ’লীগের দলীয় প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, জাসদ, বিএনএম, বিকল্পধারা, ইসলামী ঐক্যজোট, গণফোরাম, জাকের পার্টিসহ আরো কয়েকটি দলের প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীও রয়েছেন বেশীরভাগ আসনে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ ডিসেম্বর শুক্রবার থেকে ৪ ডিসেম্বর সোমবার, আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। ব্যালট পেপারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি।
বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমাদানের শেষদিনে সিলেটের ৬টি আসনে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরমধ্যে সিলেট-১ আসনে ৮ জন, সিলেট-২ আসনে ১৪ জন, সিলেট-৩ আসনে ৮ জন, সিলেট-৪ আসনে ৪ জন, সিলেট-৫ আসনে ৮ জন, সিলেট-৬ আসনে ৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরআগে এসব আসনে আরো ৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। এ নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মোট ৫২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেয়া প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আ’লীগের ৬ জন, জাতীয় পার্টির ৫ জন, তৃণমূল বিএনপি’র ৬ জন, ইসলামী ঐক্যজোটের ৪ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ৩ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৩ জন, জাকের পার্টির ৩ জন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক জোটের ২ জন, গণফোরামের ১ জন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ১ জন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ১ জন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের ১ জন এবং স্বতন্ত্র ১১ জন।
সিলেট-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ৮ প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন আ’লীগের প্রার্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
সিলেট-২ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ১৪ জন। তাঁরা হলেন, সিলেট জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী, গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা মোকাব্বির খান এমপি, বিশ্বনাথ পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান, তৃণমূল বিএনপি’র এএম খান ও আবদুর রব মল্লিক, জাকের পার্টির সায়েদ মিয়া, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির জহির মিয়া, জাতীয় পার্টি নেতা কুতুব উদ্দিন, ওসমানীনগর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুর রহমান সোহেল, যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোশাহিদ আলী ও বিশ্বনাথের ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন।
সিলেট-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৮ জন। এরমধ্যে, আ’লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব এমপি, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, সিলেট জেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল স্মৃতি সংসদের সভাপতি কফিল আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
সিলেট-৪ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৪ জন। বৃহস্পতিবার জেলা রিটার্নিং অফিসার ও সংশ্লিষ্ট সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে তারা মনোনয়নপত্র জমা দেন। তাঁরা হলেন, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এটিইউ তাজ রহমান, তৃণমূল বিএনপি’র আবুল হোসেন প্রমুখ।
সিলেট-৫ আসনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে নেতাকর্মী ও সমর্থক নিয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আ’লীগের প্রার্থী সিলেট নগর আ’লীগ সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আহমদ আল কবির, জাতীয় পার্টির জেলা আহ্বায়ক সাব্বির আহমদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর কেন্দ্রীয় সভাপতি হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী, তৃণমূল বিএনপির কায়সার আহমদ কাওছার ও ব্যারিস্টার কুতুব উদ্দিন শিকদার, বাংলাদেশ কংগ্রেসের বদরুল আলম, মুসলিম লীগের খায়রুল ইসলাম।
সিলেট-৬ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৫ জন। তাঁরা হলেন, আ’লীগের নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি তৃণমূল বিএনপি’র চেয়ারপার্সন শমসের মবিন চৌধুরী, জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি সেলিম উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আ’লীগের সদস্য সরওয়ার হোসেন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আতাউর রহমান ও ইসলামী ঐক্যজোটের ছাদিকুর রহমান।
সুনামগঞ্জের ৫ আসনে ৪০ প্রার্থী
সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের ৫টি আসনে ৪০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার মধ্যে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
সুনামগঞ্জ-১ আসনে ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরা হচ্ছেন, আ’লীগের রণজিত চন্দ্র সরকার, গণফ্রন্টের প্রার্থী মো. জাহানুর রশিদ, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির মো. হারিছ মিয়া, জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ কংগ্রেস’র প্রার্থী নবাব সালেহ আহমদ, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. আশরাফ আলী, বিকল্পধারার প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, মো. সেলিম আহমদ।
সুনামগঞ্জ-২ আসনে ৬ জন প্রার্থী সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুনের নিকট মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন, আ’লীগের প্রার্থী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (আল আমিন চৌধুরী), গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী মিহির রঞ্জন দাস, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি ড. জয়া সেনগুপ্তা, যুক্তরাজ্য শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. সামছুল হক চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব মিজানুর রহমান, ঋতেশ রঞ্জন দেব। এরমধ্যে চৌধুরী আল মাহমুদ চৌধুরী ২টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-৩ আসনে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ আসনে বুধবার সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এছাড়াও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তৃণমূল বিএনপি’র প্রার্থী সাবেক এমপি শাহিনুর পাশা চৌধুরী, জাকের পার্টির প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির প্রার্থী তৌফিক আলী ও তালুকদার মো. মকবুল হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাহফুজুর রহমান।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরা হচ্ছেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান এমপি পীর ফজলুর রহমান, আ’লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ সাদিক, জাসদের প্রার্থী আবু তাহের মো. রুহুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)’র প্রার্থী মোহাম্মদ দিলোয়ার, বিএনএম প্রার্থী সাবেক এমপি দেওয়ান শামছুল আবেদীন, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি (বিএসপি)’র প্রার্থী আবুল ফজল মো. মাসউদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. এনামুল কবীর ইমন, মো. মোবারক হোসেন।
সুনামগঞ্জ-৫ আসনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরা হচ্ছেন, আ’লীগের বর্তমান এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, জাতীয় পার্টি’র মো. নাজমুল হুদা, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)’র প্রার্থী মো. আশরাফ হোসেন, জাকের পার্টির প্রার্থী শেখ ইয়াকুব আলী, গণফোরামের আইয়ুব করম আলী, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি (বিএসপি)’র প্রার্থী আবু সালেহ, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির (এনপিপি) আজিজুল হক, জাতীয় পার্টির মনির উদ্দিন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হাজী আব্দুল জলিল, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সাচ্চু বিশ্বাস, স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম আহমদ চৌধুরী।
মৌলভীবাজারের ৪টি আসনে প্রার্থী ৩২ জন
মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজারের ৪টি সংসদীয় আসনে ৩২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন আ’লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, তৃণমূল বিএনপি, ইসলামিক ঐক্যজোট, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট, বিকল্পধারা ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটসহ একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী।
মৌলভীবাজার-১ আসনে ৫ জন, মৌলভীবাজার-২ আসনে ১০ জন, মৌলভীবাজার-৩ আসনে ১১ জন ও মৌলভীবাজার-৪ আসনে ৬ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
মৌলভীবাজার- ১ আসনে বর্তমান এমপি মো. শাহাবুদ্দিনসহ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৫ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় পার্টির আহমেদ রিয়াজ উদ্দিন, তৃণমূল বিএনপির মো. আনোয়ার হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক আহমদ ও মো. ময়নুল ইসলাম।
মৌলভীবাজার-২ আসনে আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, তৃণমূল বিএনপির এম এম শাহীন, জাসদের মো. বদরুল হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আছলাম হোসাইন রাহমানী, বিকল্পধারার মো. কামরুজ্জামান সিমু এবং ইসলামী ফ্রন্টের এনামুল হক মাহতাব, জাতীয় পার্টির মাহবুব আলম ও আব্দুল মালিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ একেএম শফি আহমদ সলমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল মতিন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
মৌলভীবাজার-৩ আসনে আ’লীগের জিল্লুর রহমানসহ ১১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছেন জাসদের আব্দুল মছব্বির, ওয়ার্কাস পার্টির তাপস কুমার ঘোষ, জাতীয় পার্টির রুহুল আমিন ও মো. আলতাফুর রহমান, সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের ফাহাদ আলম, ইসলামী ফ্রন্টের আব্দুর রউফ, জাকের পার্টির মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম, এনপিপির আবু বক্কর, স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্য আ’লীগের সহ-সভাপতি এম এ রহিম সিআইপি ও সাদেক আহমদ।
মৌলভীবাজার-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৬ জন প্রার্থী। এরমধ্যে এই আসনের ৬ বারের এমপি সাবেক হুইপ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ, জাতীয় পার্টির মো. মস্তান মিয়া, ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের আব্দুল মুহিদ হাসানী, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. আনোয়ার হোসাইন, জাকের পার্টির মুহিবুর রহমান আজাদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
হবিগঞ্জের ৪ আসন দখলে চান ৩১ জন
হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান,হবিগঞ্জে উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নিকট তারা মনোনয়নপত্র জমা দেন। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তবে আরও বেশ কয়েকজন তখনও মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে ধরা হচ্ছে এখন পর্যন্ত ৪ প্রার্থীকে। তারা হচ্ছেন হবিগঞ্জ-১ আসনে এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া, হবিগঞ্জ-২ আসনে আ’লীগের বর্তমান এমপি এডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান ও জাতীয় পার্টি নেতা শংকর পাল এবং হবিগঞ্জ-৪ আসনে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এসব আসনে আ’লীগের দলীয় প্রার্থীরা তাদের কারণে অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অবস্থায় পড়েছেন বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
অপরদিকে কংগ্রেস পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বিএনএম, জাকের পার্টি ও ইসলামিক ফ্রন্টের প্রার্থীরাও বিভিন্ন আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দুপুরের পর থেকে তারা এসব আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। বিকেল সাড়ে ৫টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গিয়ে দেখা যায় বেশ কয়েকজন প্রার্থী সেখানে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
তারা বিকেল ৪টার মধ্যেই সেখানে পৌঁছান তাই তাদের মনোনয়নপত্র জমা নিতে হবে এমন নির্দেশনা রয়েছে বলে জানান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, যেহেতু তারা এসেছেন রাত হলেও তাদের মনোনয়নপত্র জমা নিতে হবে।
জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ জানান, উৎসবমুখর পরিবেশে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আমরা সর্বদাই সচেতন রয়েছি যাতে কোনভাবেই আচরণবিধি লঙ্ঘন না হয়। আর যারা নির্বাচনে অংশ নেবেন তারাও আচরণবিধির বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন রয়েছেন। এখন পর্যন্ত আমরা অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে মনোনয়নপত্র জমা নিয়েছি।
জেলা আ’লীগ সভাপতি ও হবিগঞ্জ-৩ আসনে দলীয় প্রার্থী এডভোকেট মো. আবু জাহির বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনেক আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র আছে। এসব ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে ’৭১ সালে আমরা যেভাবে এ দেশ স্বাধীন করেছি, একইভাবে আগামী ৭ জানুয়ারী জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আমরা এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবো। আগামী নির্বাচনে হবিগঞ্জের ৪টি আসনই নৌকার প্রার্থীদের জয়ী করে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেব।
হবিগঞ্জ-১ আসনে ৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন, আ’লীগের প্রার্থী হবিগঞ্জ জেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা পরিষদের সদ্যপদত্যাগী চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক এমপি এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু, স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া, শাহনেওয়াজ গাজী মিলাদ এমপির ছোট ভাই কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শাহেদ গাজী ও অনলাইনে জমা দেন তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী মইনুর রশীদ চৌধুরী।
হবিগঞ্জ-২ আসনে আ’লীগের এডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল, স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান ও জাতীয় পার্টি নেতা শংকর পাল।
হবিগঞ্জ-৩ আসনে আ’লীগের এডভোকেট মো. আবু জাহির, জাতীয় পার্টির প্রকৌশলী এমএ মুমিন চৌধুরী বুলবুল, জাকের পার্টির মো. আনছারুল হক।
হবিগঞ্জ-৪ আসনে আ’লীগ দলীয় প্রার্থী বর্তমান এমপি এডভোকেট মো. মাহবুব আলী, জাতীয় পার্টির আহাদ উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মো. আল আমিন, ইসলামী ঐক্যজোটের আবু ছালেহ, বংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এর মো. মোখলেছুর রহমান, জাকের পার্টির সৈয়দ আবুল খায়ের, স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, চুনারুঘাট প্রেসক্লাব সভাপতি জামাল হোসেন লিটন। এছাড়াও আরো ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।