অছাত্র ও বিবাহিতদের দিয়ে মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের কমিটি গঠনে ক্ষোভ
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা করে সরকারি মেডিকেল কলেজ শাখায় অছাত্র এবং বিবাহিতদের দিয়ে কমিটি গঠন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, সিলেট, জামালপুর ও কিশোরগঞ্জ সরকারি মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।এতে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ছাত্রদলের সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন করে ছাত্রদলকে ঢেলে সাজানোর নির্দেশনা দেন সংগঠনের সাংগঠনিক অভিভাবক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ করে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে রেখে ছাত্রদল ঢেলে সাজানোর নির্দেশনা দেন তিনি। কিন্তু বাস্তবে অছাত্র, বিবাহিত ও ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা নেতাদেরকে দিয়ে ছাত্রদলের কমিটি গঠিত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর সরকারি মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। তাতে সভাপতি শাকিল হোসেন ২০১০-১১ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তাকীম কবীর ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী। যাদের বর্তমানে ছাত্রত্ব নেই। সভাপতি ৯ বছর আগে ও সাধারণ সম্পাদক ৬ বছর আগে ডাক্তারি পেশায় চলে গেছেন। ক্যাম্পাসে নিয়মিত না হওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের কোনোরকম সম্পর্ক নেই। ফলে নতুন কমিটি গঠনের পর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, অছাত্রদের নিয়ে গঠিত কমিটির ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের নতুন সভাপতি মো. রাকিবুল আলম রাফি ২০১৭-১৮ সেশনের ছাত্র। তারও এখন ছাত্রত্ব নেই এবং তিনি বিবাহিত। এ ছাড়াও সিলেট মেডিকেল কলেজ ছাত্রদল ও কিশোরগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের কমিটিতেও অছাত্র ও ডাক্তারদের শীর্ষ পদে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এ বিষয়ে কেউ নাম প্রকাশ করতে চাননি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর সরকারি মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের কমিটির সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, ‘২০১০-২০১১ সেশনে ভর্তি হওয়ার পর তার এখন ছাত্রত্ব নেই। তিনি চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত এবং প্রায় ঢাকার নবাবগঞ্জে চেম্বার করেন।অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তাকীম কবীর জানান, তিনি ঢাকায় চাকুরির পড়ালেখা করছেন। তারও ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে। কলেজে সাংগঠনিক কাজে শিগগিরই যাবেন বলে জানান তিনি।সার্বিক বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘বিভাগীয় টিমের সুপারিশের ভিত্তিতেই বিভিন্ন ইউনিটে কমিটি গঠন করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সাংগঠনিক কৌশলের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বিবাহিত বা অছাত্র সম্পর্কে তিনি অবগত নন বলেও জানান।