আজমিরীগঞ্জে মাছ ধরার লিজ নিয়ে নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার অভিযোগ
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় মাছ আহরণের জন্য লিজ নিয়ে কুদালিয়া নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন লিজ গ্রহিতারা। শর্ত ভঙ্গ করে এসব বালু তারা বিক্রিও করছেন নির্বিঘেœ। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।তবে বালু উত্তোলনের জন্য আবেদন করেছেন বলে জানান লিজ গ্রহিতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ দাস। তিনি বলেন, অনুমতি পাননি। কিন্তু বালু উত্তোলনের জন্য শুধু ড্রেজার মেশিন বসিয়েছেন। এখনও উত্তোলন করেননি। বালু কি দামে, কোথায় বিক্রি হচ্ছে তা তিনি জানেন না বলে দাবি করেন।বালুর তত্ত্বাবধানে থাকা নদী লিজের আরেক অংশীদার শাহজাহান মিয়া বালু উত্তোলনের কথা অস্বীকার করে বলেন, কিছুদিন পূর্বে আমরা মাটি উত্তোলন করেছিলাম। এটি নদী ড্রেজিং করার জন্য। বালু বিক্রির জন্য নয়। এখন বন্ধ আছে। আমরা সেগুলো বিক্রিও করিনা। তাছাড়া নদী খননের জন্য ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলনের অনুমতিও নিয়েছি।
আজমিরীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, উপজেলার কুদালিয়া নদীটি ৬ বছরের জন্য মাছ আহরণ করতে লিজ দেয়া হয়। লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ১৪৩০ বাংলার ৩১ চৈত্র। দিঘলবাঁক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ-এর অনুকূলে এ লিজ দেয়া হয়। শর্ত অনুযায়ী নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করার বিধান নেই। নদী খননের জন্য অনুমতি দিলেও উত্তোলিত মাটি বা বালু বিক্রি করা যাবেনা বলে শর্ত দেয়া হয়। কিন্তু লিজ গ্রহিতারা শর্ত ভঙ্গ করে ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। প্রতি ফুট বালু নেয়া হচ্ছে ৮ থেকে সাড়ে ১০ টাকা করে।এ বিষয়ে ইউএনও সুলতানা সালেহা সুমী বলেন, নদী খনন করার জন্য তারা একটি অনুমতি নিয়েছে। কিন্তু এসব বালু বিক্রি করার কথা না। এ বিষয়টি নিয়ে তিনি কথা বলবেন বলে জানান।বালু উত্তোলনের বিষয়টি তত্ত্বাবধান করছেন নোয়াগড় গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি মেম্বার ও জলসুখা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি শাহজাহান মিয়া।এদিকে, বালু উত্তোলনের ফলে ফসলী জমি ভেঙ্গে পড়ার আশংকায় স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।