আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী স্মরণে লন্ডনে হাই কমিশনের মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা

মতিয়ার চৌধুরী
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, সত্যবাণী

লন্ডনঃ অমর একুশে গানের রচয়িতা  কিংবদন্তি সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর স্মৃতিকে ধরে রাখতে তাঁর নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ে একটি হলের নাম করন ও দেশের বড় কোন একটি  স্থাপনার নামকরন কারার দাবী জানিয়েছেন প্রবাসী বাঙ্গালীরা।

গতকাল ২৩শে মে সোমবার দুপুরে ইষ্ট লন্ডনের ইমপ্রেশন ইভেন্ট হলে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মাগফেরাত কামনায় মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি জানান। বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তা সুদিপ্ত আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্টানের শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এর পর মিলাদ পরিচালা করেন ব্রিকলেন মসজিদের খতিব নজরুল ইসলাম।

মিলাদ পরবর্তি আলোচনা সভার শুরুতে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তব্য রাখন লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।এর পর তার উপর হাইকমিশন নির্মিত একটি ডকুমেন্টারী প্রদর্শন করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপুমনি বলেন, গাফ্ফার চৌধুরী ছিলেন আমাদের বাতিঘর। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে তিনি কারো সাথে আপোষ করেননি। ৫২ ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু তার অবদান চীরস্মরনীয় হয়ে থাকবে। আবেগ আপ্লুত কন্ঠে দীপু মনি বলেন ‘‘ আমার পিতার অনেক অজানা কথা তার কাছ থেকে জানতে পেরেছি। এমাসে লন্ডন আসলে তার সাথে দেখা করার কথা ছিল .. তার আগেই তিনি চলে গেলেন। মহান আল্লাহপাক  তাঁকে জানানাতের সর্বোচ্চ মুকাম দান করুন’’।

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শামসুল হক টুকু এমপি,  বেথনালগ্রীন ও বো আসনের বাংলাদেশী বংশদ্ভোত ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলী, যুক্তরাজ্যে মুক্তিযুদ্ধের প্রবীন সংগঠক সুলতান শরীফ, প্রবীন সাংবাদিক উদয় শঙ্কর দাশ,  কমিউনিটি নেতা সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন, তাঁর কন্যা তানিমা চৌধুরী, নাতি জেকব চৌধুরী , সাংবাদিক সৈয়দ নাহাস পাশা ও উর্মি মাজহার প্রমুখ।

You might also like