আরডিএফ মেটারনিটি ক্লিনিক পরিদর্শনে জনমত ও সত্যবাণী সম্পাদক

সিলেট করেসপন্ডেন্ট
সত্যবাণী

সিলেট: ব্রিটেনের প্রাচীনতম বাংলা পত্রিকা জনমত এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জুনায়েদ চৌধুরীর পরিবার প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রোরাল ডেভোলাপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আরডিএফ) পরিচালিত মেটারনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করেছেন কমনওয়েলথ জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি, জনমত সম্পাদক সৈয়দ নাহাস পাশা ও লন্ডন ভিত্তিক অনলাইন সংবাদ মাধ্যম সত্যবাণী সম্পাদক সৈয়দ আনাস পাশা।

২২শে ফেব্রুয়ারী, বৃহস্পতিবার সুনামগন্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলাধীন পাটলী এলাকায় অবস্থিত এই ক্লিনিক পরিদর্শনের সময় জুনায়েদ চৌধুরী ছাড়াও সৈয়দ নাহাস পাশার স্ত্রী  সৈয়দা মোর্শেদা পাশা ও আনাস পাশার স্ত্রী সত্যবাণীর ম্যানেজিং এডিটর সৈয়দা ফেরদৌসি পাশা কলিও উপস্থিত ছিলেন।

অতিথিরা ক্লিনিকে এসে পৌছলে ক্লিনিকের ম্যানেজার জনাব আব্দুন নুর অতিথিদের ক্লিনিকের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে ঘুরে দেখান। পরিদর্শনের শেষ পর্যায়ে ক্লিনিক সংলগ্ন ‘মা বাগান’ এ নিয়ে যাওয়া হয় অতিথিদের। জুনায়েদ চৌধুরীর বৃক্ষ প্রেমিক মা মরহুমা বেগম বদরুন্নেছা নেওয়া’র স্মরণে তাঁর সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত এই বাগানে সব্জিসহ বিভিন্ন ধরনের বৃক্ষরাজী রোপন করা হয়েছে।

পরিদর্শন শেষে মেটারনিটি ক্লিনিকটির সব কর্মকর্তা/কর্মচারী অতিথিদের সাথে মিলিত হন এক মতবিনিময় সভায়। সভায় ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা: নাসিমা বেগম অতিথিদের জানান, এ পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনা খরছে সিজারিয়ান ছাড়া স্বাভাবিক পদ্ধতিতে এলাকার প্রায় দুই শতাধিক গরীব মায়ের সন্তান প্রসব করানো হয়েছে। এই আজও একজন মা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আমাদের এই ক্লিনিকে সন্তান প্রসব করেছেন-এমন মন্তব্য করে ডা: নাসিমা বলেন, সন্তান প্রসবের সময় আমরা স্বাভাবিক প্রক্রিয়াটিকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছি।

ম্যানেজার আব্দুন নুর অতিথিদের জানান, গর্ভবতী মা’দের  ক্লিনিকের সেবার প্রতি উৎসাহিত করতে আরডিএফ মিডওয়াইফদের একটি গ্রুপ জগন্নাথপুর এলাকার বিভিন্ন গ্রামে নিয়মিত উঠান বৈঠক করছেন।

আরডিএফ প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য জুনায়েদ চৌধুরী জানান, এই ক্লিনিকটি মূলত তাঁদের মরহুম বাবা সামসুদ্দিন চোধুরীর স্বপ্নের ফসল। বিরাট একটি জায়গাজুড়ে প্রতিষ্ঠিত আরডিএফ এর পুরো জমি উইল করে দান করে দিয়ে গেছেন মরহুম শামসুদ্দিন চৌধুরী। আরডিএফ ক্লিনিক পরিচালনার পুরো খরচও বহন করছেন শামসুদ্দিন চৌধুরীর সন্তানরা এমন তথ্য দিয়ে জুনায়েদ চৌধুরী বলেন, সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে ২০ টাকার একটা ছোট্ট ফি নেয়া হয়। যারা এটি দিতে পারেননা, তাদের বিনা ফি তেই সেবা দেয়া হয়।

আরডিএফ এর এমন একটি মহান সেবা প্রদানের বিস্তারিত শুনে বহির্বিশ্বে বাংলা সংবাদ মাধ্যমের অভিভাবকতূল্য প্রবীন সাংবাদিক সৈয়দ নাহাস পাশা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমার নিজ জন্ম এলাকায় এমন একটি মহতি উদ্যোগ দেখে আমি অভিভূত। এটি একটি অনুসরণীয় মহান কাজ। আমি নিশ্চিত আরডিএফ এর এই কাজটি এলাকার গরীব জনসাধারণের স্বাস্থ্য সেবা দিতে আরও অনেককেই উৎসাহিত করবে।

সত্যবাণী সম্পাদক সৈয়দ আনাস পাশা জুনায়েদ চৌধুরীর বাবা শামসুদ্দিন চৌধুরীর আত্মার শান্তি কামনা করে বলেন, এলাকার মানুষের সেবায় নিজে যে স্বপ্ন দেখতেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর সন্তানদেরও তিনি ঐভাবে মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। আর তাই আজ এই এলাকায় মানবিকতার ঔজ্জ্বল্য ছড়াচ্ছে আরডিএফ।

সত্যবাণীর ম্যানেজিং এডিটর আরডিএফ এর মাতৃ ও শিশু সেবাকে একটি মহান মানবিক কাজ আখ্যায়িত করে বলেন, লন্ডনের একটি বারায় চিলড্রেন সার্ভিসে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকেই আমি বলছি আরডিএফ এর এই মাতৃ ও শিশু সেবা একটি মহৎ কাজ।

সৈয়দা মোর্শেদা পাশা সকল মা’দের পক্ষ থেকে আরডিএফ এর এমন উদ্যোগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জুনায়েদ চৌধুরীর পরিবারের প্রতি ধন্যবাদ জানান।

https://www.facebook.com/share/v/6irfcqTeJqhUV1uJ/?mibextid=WC7FNe

 

 

 

 

 

 

You might also like