আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আসছে, সতর্ক থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী সাগরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার আশঙ্কার কথা তুলে ধরে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।রোববার (২৩ মে) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ১০০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার এই সতর্কবার্তা আসে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আবার সবাইকে সতর্ক করছি। আরেকটা ঘূর্ণিঝড় কিন্তু আসছে। সেটা কেবল তৈরি হচ্ছে, কতটুকু যাবে… এখন আধুনিক প্রযুক্তির কারণে আমরা অনেক আগে থেকেই জানতে পারি। আর সেই বিষয়ে পূর্ব সতর্কতা আমরা নিতে শুরু করেছি। ইনশাল্লাহ এতে আমরা সতর্ক থাকব, এই ঝুঁকি হ্রাস করতে পারব।এ অনুষ্ঠানে ১০০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও ৩০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ৩০টি জেলা ত্রাণ গুদাম-কাম-দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র ও ৫টি মুজিব কিল্লার উদ্বোধন এবং ৫০টি মুজিব কিল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।যে কোনো দুর্যোগে ঝুঁকি কমানোর জন্য সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই সময় ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন।করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন সরকার প্রধান।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীনসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।এছাড়া নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর, গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর ও বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলা থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তার জানিয়েছে, শনিবার বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিলে এর নাম হবে ‘ইয়াস’(yaas)।আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ২৬মে নাগাদ ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছাতে পারে। ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় সমুদ্র বন্দরে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হচ্ছে বলে শনিবার জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।মহামারীর মধ্যে গত বছর মে মাসে বাংলাদেশে যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছিল, তার নাম ছিল ‘আম্পান’। আগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ঝড়ের কারণে নতুন করে যাতে সংক্রমণ না বাড়ে সে বিষয়েও বিশেষ নজর রাখার কথা জানিয়েছে সরকার।