আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার রায় কাল
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
বরগুনাঃ বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায় বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঘোষণা করা হবে।গত ১৬ সেপ্টেম্বর বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এই তারিখ ঘোষণা করেন।এদিন রিফাত হত্যা মামলার ২৪ আসামির মধ্যে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা করবেন জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান।মামলার প্রধান আসামি মো. সাব্বির আহম্মেদ নয়ন ওরফে নয়নবন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন এবং অন্য একজন আসামি মো. মুসা পলাতক।
বুধবার মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক যে ১০ আসামি হচ্ছেন—রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), মো. রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯), মো. মুসা (২২), আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সাইমুন (২১)। আসামিদের মধ্যে মিন্নি হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছেন। আর মো. মুসা হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক।এ মামলায় মোট ৭৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন বরগুনার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ভুবন চন্দ্র হালদার। সঙ্গে ছিলেন প্যানেলভুক্ত আইনজীবী এ এম মুজিবুল হক কিসলু ও মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম, মো. শাহজাহান মিয়া, হুমায়ুন কবীর, অলি উল্ল্যাহ সবুজ ও আবদুর রহমান নান্টু।
রায়ের বিষয়ে মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, মামলাটি করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দ্রুতগতিতে শেষ হয়েছে। আমি আশা করি, আমার মক্কেল মিন্নি খালাস পাবেন, কেননা মিন্নি জীবনবাজি রেখে রিফাতকে বাঁচাতে রামদার নিচে গিয়েছিলেন এবং আহত হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ এম মুজিবুল হক কিসলু বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে সব ষড়যন্ত্রের মূল হোতা ছিলেন মিন্নি। নয়নবন্ডের সঙ্গে বিয়ে গোপন করে রিফাতকে বিয়ে করেন। আবার দুজনের সঙ্গেই শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখেন। একপর্যায়ে রিফাতকে পথের কাঁটা ভেবে সরিয়ে দিতে হত্যার পরিকল্পনা করেন। মিন্নির এবং সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আশা করি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে সকাল ১০টা ১০ মিনিটের দিকে প্রকাশ্যে নয়নবন্ড ও তার সহযোগীরা রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডের সময় রিফাতের স্ত্রী মিন্নি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। পরদিন ২৭ জুন মো. আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা (নম্বর ৩১, তাং-২৭/৬/১৯) করেন। মামলায় উল্লেখ করা ১২ আসামি হলেন—সাব্বির আহম্মেদ নয়ন, মো. রিফাত ফরাজী, মো. রিশান ফরাজী, চন্দন, মো. মুসা, মো. রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রায়হান, মো. হাসান, রিফাত, অলি ও টিকটক হৃদয়।