একদিনে বজ্রপাতে সিলেট বিভাগে নিহত ৩
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ একদিনে বজ্রপাতে সিলেট বিভাগে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১ জন এবং মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পৃথক ঘটনায় ২ জনের মারা গেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্থানীয় সংবাদদাতারা এমন তথ্য জানিয়েছেন।
১১ অক্টোবর মঙ্গলবার ও আগের দিন সোমবার রাতে সিলেট প্রচন্ড ডাকে বেশ কয়েকবার বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এ সময় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে বদরুল আলম বদিল (৩৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের শাহ আরেফিন টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত বদিল ওই ইউনিয়নের চিকাডহর গ্রামের মৃত ওয়াতির আলীর পুত্র।
কোম্পানিগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, মঙ্গলবার ভোর রাতে পার্শ্ববর্তী মতিয়া টিলা এলাকায় মাছ ধরতে যান বদরুল আলম। সকাল সাড়ে ৮টায় বাড়ি ফেরার পথে শাহ আরেফিন টিলা এলাকায় বজ্রপাতের কবলে পড়েন তিনি। উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ইউএনও লুসিকান্ত হাজং বলেন, বজ্রপাতে নিহত এই ব্যক্তির পরিবারকে সরকারিভাবে ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।শ্রীমঙ্গলে বজ্রপাতে চা শ্রমিক ও কৃষকের মৃত্যু
এদিকে, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় পৃথক পৃথক বজ্রপাতে চা শ্রমিক ও কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার দুপুরে কালীঘাট ইউনিয়নের ফুলছড়া চা বাগানে ও হাইল হাওরে এ ঘটনা ঘটে।
শ্রীমঙ্গল সংবাদদাতা জানান, উপজেলার কালীঘাট ইউনিয়নের ফুলছড়া চা বাগানের মেঘা রায়ের ছেলে বাগানের নিয়মিত চা শ্রমিক নৃপেন রায় (৪৫) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চা বাগানে কাজ করছিলেন। এ সময় নৃপেন রায়ের ওপর বজ্রপাত পড়লে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।অপরদিকে, কালাপুর ইউনিয়নের বরুনার হামিদনগর গ্রামের ছিমাই মিয়ার ছেলে উম্মত আলী (৪৫) হাইল হাওরে কৃষিকাজ করছিলেন। দুপুর ২ টার দিকে উম্মত আলীর ওপর বজ্রপাত পড়লে তিনিও ঘটনাস্থলেই মারা যান।খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যান ভানুলাল রায় ও ইউএনও আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বজ্রপাতে নিহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। ইউএনও বলেন, আমরা বজ্রপাতে নিহত দ’ুজনের বাড়িতে গিয়ে তাদের পরিবারের লোকজনের কাছে মৃতদেহ সৎকারের জন্য ১০ হাজার করে টাকা দিয়েছি। পরবর্তীতে তাদেরকে আরও সরকারি সহযোগিতা দেয়া হবে।