এবার সীমান্তে নেপালের সেনা বৃদ্ধি, আরো চাপে ভারত
আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী
নেপাল: চিরশত্রু পাকিস্তানের সাথে সারাবছর লেগেই থাকে। সীমান্তে হামলা-পাল্টা হামলা যেন নিত্য ব্যাপার। এর সাথে যোগ হয়েছে এশিয়ার পরাশক্তি চীনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে সংঘাত।লাদাখের গালওয়ান সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা চলমান ভারত ও চীনের মধ্যে। গত সোমবার রাতে গালওয়ান উপত্যকায় প্রতিবেশী চীনের সৈন্যদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ভারতের অন্তত ২০ সেনার প্রাণহানি ঘটে।এ ঘটনার রেশ যেতে না যেতেই দুই দেশের মধ্যে বিবাদমান আরেক সীমান্ত ডোকলামেও উত্তেজনা বেড়েছে। জানা গেছে, গালওয়ান নিয়ে অশান্তির মধ্যেই ডোকলামে আনাগোনা বাড়িয়েছে চীনা লাল ফৌজ।
নতুন করে এর সঙ্গে যুক্ত হলো ভারত সীমান্তে নেপালের সৈন্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা। এ যেন চতুর্মুখী বিপদে ভারত। সম্প্রতি ভারতের কিছু অংশ যুক্ত করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে নেপাল। এটা আবার সংসদে অনুমোদন হয়েছে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্য উত্তেজনা বেড়েছে। সংঘাতে এক ভারতীয় সৈন্যও মারা গেছে।এখন থেকে নেপালের সরকারি মানচিত্রে ভারতের তিনটি এলাকা দেখা যাবে। কালাপানি ছাড়াও রয়েছে লিপুলেখ, লিম্পিয়াধুরা এলাকা। এই মানচিত্র প্রকাশ করার পরই সামরিক তৎপরতাও শুরু হয়েছে ইন্দো-নেপাল সীমান্তে।ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সীমান্ত বরাবর সেনা বাড়াচ্ছে নেপাল। শুধু তাই নয়, তৈরি করা হচ্ছে ক্যাম্পও। এছাড়া যুদ্ধকালীন তৎপরতায় হেলিপ্যাড বানানোর কাজও করছে নেপাল। সেনা তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার বেশ কিছু ছবি হাতে পেয়েছে দেশটির এক সংবাদমাধ্যম।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, জঙ্গলের মধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ক্যাম্প বানানোর কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিটি ক্যাম্পে ১২ থেকে ১৩ জন করে নেপাল আর্মি জওয়ান রয়েছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এমন পরিস্থিতি আগে তারা দেখেননি। কোনোদিনই নেপাল আর্মিকে অন্তত এই সমস্ত জায়গায় দেখা যায়নি।ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো আরও দাবি করেছে, সীমান্তে ব্যাপকভাবে নির্মাণকাজ চালাচ্ছে নেপাল। সেনা ক্যাম্প, রাস্তাসহ একগুচ্ছ নির্মাণকাজ শুরু করেছে। নেপাল-চীন সীমান্তেও চলছে নির্মাণকাজ।কালাপানি থেকে মাত্র ৪০ কিমি দূরে একটি পোস্ট বানিয়েছে নেপাল আর্মি। সেখানেও চলছে সে দেশের তৎপরতা। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, হেলিকপ্টারে করে সেনা-যন্ত্রপাতি নামানো হচ্ছে।