করোনাভাইরাস ‘ওমিক্রন’ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৫ তথ্য
আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী
যুক্তরাষ্ট্রঃ মহামারি করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক উদ্বেগ ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকায় চিহ্নিত হওয়া প্রাণঘাতী ভাইরাসটি এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে।শক্তিশালী এই ধরনটি উদ্বেগের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে এরই মধ্যে বিশ্ববাসীকে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। যদিও এখন পর্যন্ত রোগটির নতুন রূপের ভয়াবহতা সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানা সম্ভব হয়নি।
ওমিক্রন সম্পর্কে আপাতত পাঁচটি তথ্য জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
১. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আগে যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, এ রকম ব্যক্তিরা আবার খুব সহজেই ওমিক্রনে সংক্রমিত হতে পারেন।
২. এক ব্যক্তির দেহ থেকে অন্যের দেহে কোনো ভাইরাস যত সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে, সেই ভাইরাস তত বেশি সংক্রামক। করোনা ভাইরাসের ডেল্টা এবং অন্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রন বেশি সংক্রামক কি-না, তা এখনো পরিষ্কার নয়। কিন্তু আরটি-পিসিআর পরীক্ষা এই রূপকে ধরতে সক্ষম বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
৩. কোভিড-১৯ এর বিভিন্ন ভ্যাকসিনের ওপর এই ভাইরাসের প্রভাব কতটা, তা জানার জন্য কাজ চলছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
৪. মহামারি করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন আরও ভয়াবহ রোগ ঘটাবে কি-না, তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। কোভিডের অন্য রূপে সংক্রমিত হলে যে সব উপসর্গ দেখা যায়, তার থেকে আলাদা কোনো উপসর্গ ওমিক্রন ডেকে আনছে কি-না, তাও এখনো স্পষ্ট নয়।
৫. প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে কেবল ওমিক্রনের জন্য এই বৃদ্ধি কি-না, তা বলার পর্যাপ্ত তথ্য এখনো নেই বলে মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও)।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এশিয়ার পরাশক্তি চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ প্রাণঘাতী ভাইরাসটিকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে।