করোনা সংক্রমণের দ্বিগুণ ঝুঁকিতে বর্তমান ও সাবেক ধূমপায়ীরা: গবেষণা
করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমিত হওয়ার দ্বিগুণ ঝুঁকিতে রয়েছেন বর্তমান ও সাবেক ধূমপায়ীরা।এছাড়া যারা ই-সিগারেট ব্যবহার করেন তারাও এই ঝুঁকির আওতাধীন।অধূমপায়ীদের চেয়ে ধূমপায়ীদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকিও অনেক বেশি। নতুন এক গবেষণায় এসব কথা বলা হয়েছে।
বুধবার সিএনএন অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, সান ফ্রান্সিসকোর সেন্টার ফর টোবাকো কন্ট্রোল রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশনের গবেষকরা নতুন গবেষণাটি করেছেন। সেখানকার মেডিসিনের অধ্যাপক স্ট্যান্টন গ্লান্টজ ও তার সহকর্মীদের করা গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল নিকোটিন অ্যান্ড টোবাকো রিসার্চে।মেটা-অ্যানালাইসিস পদ্ধতিতে নতুন গবেষণাটি করা হয়েছে। অর্থাৎ আগের একাধিকা বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে নতুন করে পর্যালোচনা করা হয়েছে। চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ১৯টি পিয়ার রিভ্যুড পেপারসকে নতুন গবেষণায় পর্যালোচনা করা হয়েছে।তাতে দেখা গেছে, ৩০ শতাংশ ধূমপায়ী ব্যক্তি গুরুতরভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বিপরীতে অধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে এ হার ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ।
গবেষণা প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ধূমপানের ফলে ফুসফুস সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি এমনিতেই বেড়ে যায়। ধূমপানের ফলে শ্বাসতন্ত্রের ওপরের অংশও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে অধূমপায়ীদের চেয়ে ধূমপায়ীদের ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যদিও এই বিষয়গুলোর সঙ্গে নতুন করোনাভাইরাসের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া কেমন হয় তা আরও বিস্তারিত গবেষণার দাবি রাখে।অধ্যাপক গ্লান্টজ বলেন, উচ্চ মাত্রায় নতুন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সঙ্গে ধূমপানের এক ধরনের সম্পর্ক রয়েছে।এ জন্য গবেষকরা প্রস্তাব করেছেন, করোনাভাইরাসের মহামারি থেকে মুক্তি পেতে হলে তামাকজাত সিগারেট এবং ই-সিগারেটেও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে হবে। সেই সঙ্গে আরও তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে যে, ধূমপায়ীরা নতুন এই ভাইরাসটির কারণে ঠিক কতখানি ঝুঁকিতে রয়েছেন।