কুয়াকাটায় রাখাইনদের দেবালয় সম্পত্তি দখলের ঘটনায় ৩৩ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আদিবাসী রাখাইন সম্প্রদায়ের দেবালয় সম্পত্তি দখলের বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার বিচার দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৩৩ বিশিষ্ট নাগরিক। বিবৃতিতে ভুক্তভোগী আদিবাসীদের নিরাপত্তা বিধানের দাবিও তোলা হয়।শনিবার দুপুরে বিবৃতিদাতাদের পক্ষে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটায় রাখাইনদের দেবালয় সম্পত্তিসহ ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এই সম্পত্তির উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা উপেক্ষা করে দখল করছে স্থানীয় প্রভাবশালী চিহ্নিত একটি ভূমিদস্যু চক্র। বৌদ্ধ বিহার কমিটি ও রাখাইনদের পক্ষ থেকে বৌদ্ধ বিহারের জায়গা বাদ দিয়ে কাজ করতে অনুরোধের পরেও দখলদাররা জোরপূর্বক বেড়া দিয়ে বালু ভরাটের কাজ করছে। তাদের হুমকীতে আদিবাসী রাখাইনরা চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে।

বিবৃতিদাতারা আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও সংক্ষুব্ধতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটায় রাখাইনদের দেবালয় সম্পত্তিসহ ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দখলের ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতার, ভুক্তভোগী রাখাইনদের নিরাপত্তাবিধানসহ অপরাধের বিচারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষ ভূমিকা রাখবেন বলেও প্রত্যাশা করছেন বিবৃতিদাতারা।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য রামেন্দু মজুমদার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত, ঢাবির অধ্যাপক এম. এম. আকাশ, মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির, উন্নয়ন কর্মী রোকেয়া কবির, ঢাবির অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহিদুল বারী, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ, সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট পারভেজ হাসেম, সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গিবাদ বিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি এস.এম.এ সবুর, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, শ্রমিক নেতা আব্দুর রাজ্জাক, সংস্কৃতি কর্মী এ কে আজাদ, সমাজ কর্মী রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক দীপায়ন খীসা, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক জীবনানন্দ জয়ন্ত, সংস্কৃতি কর্মী ড. সেলু বাসিত, অলক দাস গুপ্ত, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ ইকবাল খান, সংস্কৃতি মঞ্চের আহবায়ক সেলিম রেজা, সমাজ কর্মী আবদুল আলীম, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিভূতী ভূষণ মাহাতো, মেইনথেন প্রমীলা এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (বিসিএল) সভাপতি গৌতম শীল।

 

You might also like