কোনা শালেশ্বর গ্রামকে কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনের কবল থেকে বাঁচাতে স্মারকলিপি প্রদান
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
সিলেট: সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলাধীন ৪ নং শেওলা ইউনিয়নের কোনা শালেশ্বর গ্রামকে নদীর ভাঙ্গনের কবল থেকে বাঁচানো এবং ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।গ্রামবাসীর পক্ষে স্মারকলিপি বার্মিংহামস্থ সহকারী হাইকমিশনে এ স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন সাংবাদিক সাহিদুর রহমান সুহেল।গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, সোমবার দুপুর একটার সময় বার্মিহামস্থ সহকারী হাইকমিশনের স্মারকলিপি হস্তান্তরকালে বার্মিংহামের টিভি ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, গ্রামবাসী এবং কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন ফার্স্ট সেক্রেটারী মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
লিখিত স্মারকলিপিতে কোনা শালেশ্বর গ্রামের নদী ভাঙ্গনের দূর্ভোগের কথা উল্লেখ করে বলা হয়- ‘কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনের ফলে গ্রামের প্রায় এক তৃতিয়াংশ বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। গ্রামের প্রায় আধা কিলোমিটার বর্তমানের নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। গ্রামবাসী প্রতিনিয়ত নদীভাঙ্গনের ফলে দৃর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। অনেকেই সর্বস্ব হারিয়ে অসহায়-মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বর্তমানে প্রায় ৫০টি পরিবার ভিটাস্তুত অবস্থায় মানবেতার জীবন যাপন করছেন।’
বিগত ২৫ বছর যাবত গ্রামবাসীর এ দূর্ভোগের জন্য দাবী-দাওয়া উত্থাপিত হলেও সমাধানের কার্যকর কোন উদ্যোগ না নেয়ার কথা উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়- ‘ব্যক্তিগত উদ্যোগের পাশাপাশি সামাজিকভাবে ভাঙ্গন রোধের জন্য বিচ্ছিন্নভাবে উদ্যোগ নেয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য। আমার স্কৃলজীবন থেকে প্রায় ২৫বছর থেকে বিভিন্নভাবে স্থানীয় এমপি এবং প্রশাসনের নজরে বিষয়টি আনা হলেও এ পর্যন্ত কার্যকর কোন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি।’
কুশিয়ারা-সুরমার উৎসমুখে ভরাট হয়ে বন্ধ কুশিয়ারাতে পানির চাপ বেড়ে এর ভাঙ্গণ প্রবণতা আগ্রাসী রূপ ধারণ করার কথা উল্লেখ করে ভারতের সাথে যথাযথ কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে সুরমা নদীর উৎসমুখটি খুলে দিয়ে কুশিয়ারার ভাঙ্গণ প্রবণতা রোধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবী জানানো হয়।স্মারকলিপিতে অবিলম্বে- ‘কোনা শালেশ্বর গ্রামের নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ ৫০টি পরিবারের অবিলম্বে পুনর্বাসন এবং কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন রোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জোর দাবী জানানো হয়।কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কমরেড মসুদ আহমেদ, হাজী কবির উদ্দিন, গ্রামবাসীর মধ্যে- নজরুল ইসলাম সুহেদ ও সেলিম আহমদ, সংবাদকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জয়নাল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম বেলাল, ওবায়দুল কবির খোকন ও সোহেল আহমদ।