ছাতকে মামলার স্বাক্ষী’র রগ কেটে দিয়েছে আসামীরা
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে মামলার জের ধরে স্বাক্ষী’র উপর আসামীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে।গত রোববার সকাল ৬ টার দিকে উপজেলার খুরমা উত্তর ইউনিয়নের জামিরখাই গ্রামের সোনা উল্লাহর ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন (৩৫) এর উপর হামলা করে আসামীরা।হামলায় মো. বিল্লাল হোসেন গুরুতর আহত হলে তাকে স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে নেওয়া হয়।পরে সেখান থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
জানা যায়, গত (২৪ এপ্রিল) শুক্রবার জামিরখাই গ্রামের মসজিদে গ্রাম পঞ্চায়িতি মিমাংশিত একটি বিষয় নিয়ে কথা কাটা-কাটির একপর্যায়ে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একই গ্রামের হাজী আব্দুল হামিসের ছেলে আজিজুল হক বাদী হয়ে গত (১ মে) ২০২০ ইং তারিখে ছাতক থানায় একটি মামলা নং-০১ দায়ের করা হয়। এতে একই গ্রামের মৃত. আব্দুল কদ্দুছের ছেলে হাবিবুর রহমান, আজিজুর রহমান, এখলাছুর রহমানসহ ২৪ জনকে আসামী করা হয়।ওই মামলায় মো. বিল্লাল হোসেনকে ৮ নং স্বাক্ষী করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মহাদেব বাছার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। এ সময় মো. বিল্লাল হোসেন স্বাক্ষ্য প্রদান করেন।
আসামীদের বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্য প্রদান করার জের ধরে ঘটনার দিন গত রোববার (৩০ আগষ্ট) সকাল ৬ টার দিকে বাড়ীর পুকুর ঘাটে মুখ ধুইতে যান মো. বিল্লাল হোসেন। এ সময় পূববর্তী মামলার আসামী একই গ্রামের হাবিবুর রহমান,আজিজুর রহমান, এখলাছুর রহমান ও বাবনগাঁও গ্রামের (বর্তমান ঠিকানা জামিরখাই) মৃত. আশিদ আলীর ছেলে অলিউর রহমান চায়নিজ কুরাল ও দেশীয় অ¯্র দা দিয়ে মো. বিল্লাল হোসেনের উপর হামলা করা হয়। হামরাকারীরা তার ডান হাতের রগ কেটে দেয় ও বাম হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। গলায় ও মাথায় জখমি করে। বিল্লাল হোসেনকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তী ও চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।এ বিষয়ে ছাতক থানার এসআই ও পূর্ববর্তী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহাদেব বাছার সম্প্রতি বদলি হয়ে যাওয়ায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।ছাতক থানার ওসি মোস্তফা কামালের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যাস্ত থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।