ছাতকে যাত্রীবাহী বাসে হামলা,ভাঙচুর-লুটপাট চালকসহ আহত-৬

শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী

সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে যাত্রীবাহী বাসে হামলা ও ভাঙচুরসহ লুটপটের অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনা বাসচালকসহ ৬জন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহা সড়কের বড়কাপন পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত বাস চালককে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি ও অন্যান্য আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সুনামগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি ও উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের ধারন গ্রামের মৃত. ইসমাইল আলীর ছেলে মো. বুরহান উদ্দিন বাদী হয়ে ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এতে উপজলোর জাউয়া বাজার ইউনিয়নের বড়কাপন গ্রামের আসকর আলীর ছেলে অলাছ মিয়া, একই গ্রামের ছুরত আলীর ছেলে হুমায়ুনসহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট থেকে ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৯৬৪৯ যাত্রীবাহী বাস নিয়ে সুনামগঞ্জ যাচ্ছিলেন সিলেট জালালাবাদের মৌলভীরগাঁও গ্রামের আবদুন নুরের পুত্র চালক সাজ্জাদুর রহমান। বাসটি সড়কের বড়কাপন পয়েন্টে পৌঁছামাত্র কয়েকটি সিএনজি চালিত অটো-রিকশা এলোপাথারি ভাবে সড়কে রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ওই সিএনজি চালিত অটো-রিকশার চালকরা। বিষয়টি নিয়ে এখানের সিএনজি চালিত অটো-রিকশা চালকদের সাথে কথা কাটাকাটি হয় বাস চালক সাজ্জাদুর রহমানের। এক পর্যায়ে সিএনজি অটো-রিকশার চালকরা বাস চালকের উপর চড়াও হন। তারা বাস থেকে চালককে টেনে হেঁছড়ে নামিয়ে বেধড়ক মারপিট করা হয়। বাস চালককে বাঁচাতে স্থানীয় বাস মালিক সমিতির ম্যানেজার গৌছ আলী, আবদুস ছাত্তারসহ এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা চালায় এসব দুর্বৃত্তরা। অতর্কিত এ হামলায় বাস চালক, মালিক সমিতির ম্যানেজারসহ ৬ ব্যক্তি আহত হন। গুরুত্বর আহত বাস চালক সাজ্জাদুর রহমানকে কৈতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরে সেখান থেকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। হামলাকারীরা বাস চালকের কাছ থেকে নগদ ৯ হাজার হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন লুটসহ দুটি বাস ভাঙচুর করে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করা হয়ে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। সুনামগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি মো. বুরহান উদ্দিন অভিযোগ দায়েরের সত্যতা স্বীকার করেছেন। অভিযোগ প্রাপ্তির স্বীকার করে ছাতক থানার ওসি (তদন্ত) আরিফ আহমেদ বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।