ছাতক থানা পুলিশের আরেকটি চমক নিরাপত্তা প্রহরী হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতক রেলওয়ের গোডাউনে নিরাপত্তা প্রহরী ফখরুল হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রধান আসামী ডাকাত সর্দার আজম আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুর ১ টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ছাতক থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম এর নেতৃত্তে সঙ্গিয় ফোর্স অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার নোয়ারাই ইসলামপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত হলো উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের নোয়ারাই গ্রামের মৃত. হোছন আলীর ছেলে।স্থানীয় ও পুলিশ জানা যায়, গত ২৯ জুন রাত ১০ টায় ছাতক রেলওয়ের নিরাপত্তা প্রহরী ফখরুল আলম প্রতিদিনের ন্যায় ছাতক রেলওয়ের গোডাউনের নৈশ প্রহরী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সকাল ৬ টা পর্যন্ত প্রহরীর দায়িত্ব পালন শেষে নিজ বাসায় ফেরার কথা ছিল তার। কিন্ত অজ্ঞাত নামা ডাকাত দল রাত্র অনুমান ২ টার দিকে গোডাউনের তালা ভেঙ্গে ভীতরে প্রবেশ করে নিরাপত্তা প্রহরী ফখরুল আলমকে নির্মম ভাবে হত্যা করে গোডাউন থাকা রেলওয়ের লৌহ জাতীয়় বিভিন্ন মালামাল লুঠ করে নিয়ে যায়। পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার সময় ছাতক রেলওয়ের গোডাউনে নৈশ্য প্রহরী ফখরুল আলম এর রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায়় নিহত ফখরুল আলমের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামীর বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিপিএম এর দিক নির্দেশনায় এই চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস হত্যা মামলার দায়িত্ব পান ছাতক থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম।এসআই হাবিবুর রহমান দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হন। তদন্তে বেরিয়ে আসে ডাকাত সর্দার আজম আলীর নেতৃত্তে একদল ডাকাত খুন সহ ডাকাতির ঘটনাটি সংগটিত করে।এই হত্যাকান্ডে ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী ডাকাত সর্দার আজম আলীসহ ৬ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামীরা বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
ডাকাত সর্দার আজম আলী ঘটনার পরপরই মুঠোফোন বন্ধ করে আত্বগোপনে চলে যায়। অবশেষে থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ডাকাত সর্দার আজম আলী কিছুদিন পূর্বে তিন বছর সাজা ভোগ করে মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে আসে। এর পর রেলওয়ের গোডাউনের প্রহরীকে খুন করে ডাকাতি করে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি , ছিনতাই, দ্রুতবিচার আইনে মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম, গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করেছেন।