ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: ৩ জন ৫ দিনের রিমান্ডে
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
সিলেটঃ সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় আসামি শাহ রনি,রাজন ও আইনুলকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় এমসি কলেজ প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।সোমবার দুপুরে মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালতে আসামীদের হাজির করে পুলিশ।আদালতে তাদের ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।এই মামলায় এখন পর্যন্ত পুলিশ ৭ আসামিকে গ্রেফতার করলেও এজাহারভুক্ত আসামি তারেক পলাতক রয়েছে। আদালতে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আজও দাঁড়াননি।
এদিকে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি মাহফুজুর রহমানকে (২৫) গ্রেফতার করে পুলিশ।সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট জেলা ডিবি ও কানাইঘাট থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে হরিপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতার মাহফুজুর রহমান এমসি কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং কানাইঘাটের দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপির লামা দলইকান্দি গ্রামের সালিক আহমদের ছেলে।তাকে নিয়ে এ ঘটনায় এজাহারে নাম উল্লেখ করা সবাইসহ মোট সাত জন গ্রেফতার হলো।এর আগে রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কচুয়া নয়াটিলা এলাকা থেকে রাজন ও তার সহযোগী আইনুলকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এই মামলার আরেক আসামি মাহবুবুর রহমান রনিকে হবিগঞ্জ শহরের কোরেশনগর থেকে গ্রেফতার করে র্যাবের একটি দল। অন্যদিকে নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে রবিউলকে গ্রেফতার করে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ।এছাড়া রোববার সকালে সিলেট বিভাগের পৃথক দুই স্থান থেকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান এবং অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করা হয়।প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন ওই নববধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়।এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।