জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যার স্বীকৃত খুনিদের পুনর্বাসন করেন: শিক্ষামন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
নেত্রকোনা: জিয়াউর রহমান সামরিক শাসন চাপিয়ে দিয়ে দেশ পরিচালনা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি।তিনি বলেন,যারা রাজাকার-আলবদর ছিল,বঙ্গবন্ধুর হত্যার স্বীকৃত খুনি ছিল,জিয়াউর রহমান কথিত বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে তাদের পুনর্বাসিত করেছেন।জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার যাতে না হয় সেজন্য ‘ইনডেমনিটি’ আইন পাস করেছিলেন।তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের দেশ-বিদেশে চাকরি দিয়েছেন। পরবর্তীতে বেগম জিয়া তাদের সংসদ সদস্য বানিয়েছেন।জিয়া এমন এক ব্যক্তি ছিলেন, যিনি সেনাবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদের হত্যা করেছেন।সামরিক শাসন চাপিয়ে দিয়ে দেশ শাসন করেছেন।জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতার ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (১৯ আগস্ট) বিকালে নেত্রকোনা শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা,মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।সভায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যোগ দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন,৭৫ এর হত্যাকাণ্ড শুধু একজন ব্যক্তিকে হত্যা ছিল না,এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে নস্যাত করার জন্য এই নির্মম হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়ন হয়। জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে ফের পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র হয়েছিলো।’
মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যত আলোচনা হবে, বর্তমান প্রজন্ম তাকে ততবেশি জানতে পারবে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজা নামচা এবং আমার দেখা চীন বইগুলো পাঠ করা প্রয়োজন।সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নেত্রকোনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া আদর্শ বাস্তবায়ন করাই এখন আমাদের কাজ।সভার প্রধান আলোচক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়েল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর সার্বিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেই চক্র শেখ হাসিনাকেও হত্যার জন্য কয়েকবার চেষ্ট করেছে। তার প্রমাণ ভয়াবহ ২১ আগস্টের নির্মম গ্রেনেড হামলা।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মেম্বার ও বিমান বালাদেশের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যেভাবে দেশের প্রতিটি অঞ্চলের কথা ও অবহেলিত জনপদের মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থানের কথা চিন্তা করতেন, ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাও ভাটি অঞ্চলের মানুষের শিক্ষার মান উন্নয়নের কথা ভাবেন। তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে মেডিক্যাল কলেজ ও অর্থনীতির কথা ভেবে ইকোনোমিক জোন স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করছেন। এসব কর্মকাণ্ড হাওর পারের মানুষ চিরদিন কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.রফিক উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কাজী নাসির উদ্দিন এবং ট্রেজারার ড. সুব্রত কুমার আদিত্য।আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের শুরুতে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে দোয়ার মাধ্যমে আলোচনা সভা শেষ হয়।সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন