জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট মোকাবেলা বাসিন্দাদের জন্য আমরা সহযোগিতা বাড়িয়ে যাচ্ছিঃ মেয়র লুৎফুর রহমান

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

টাওয়ার হ্যামলেটসঃ টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান বলেছেন, জীবনযাত্রার ব্যয়–সংকট গভীর হওয়ার সাথে সাথে বারার বাসিন্দাদের জন্য আমরা আমাদের সহযোগিতা বাড়িয়ে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার আমরা শুরু করেছি আমাদের কস্ট অফ লিভিং হেল্প ক্যাম্পেইন, যা বারার বাসিন্দাদের অর্থ সাশ্রয় করতে এবং কাউন্সিল বা সরকার থেকে তাদের জন্য প্রদেয় সাহায্য এবং অনুদান গুলো পাওয়ার জন্য সহায়ক সকল তথ্য সরবরাহ করবে।কাউন্সিলের সাপ্তাহিক রেসিডেন্টস্ নিউজলেটারে বারার বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে লেখা এক বার্তায় মেয়র লুৎফুর রহমান বলেন, “এটা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, টাওয়ার হ্যামলেটসে এক বছরে ১৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বেনিফিটসমূহ দাবি করা হয় না। ইউনিভার্সাল ক্রেডিট, পেনশন ক্রেডিট এবং ডিজেবিলিটি প্রিমিয়ামের মতো বেনিফিট গুলো অনেকের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি লাইফলাইন হতে পারে। তাই, একটি সহজ জিনিস যা আপনি করতে পারেন – তা হল, কাউন্সিলের বেনিফিট ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে আপনি যে সমস্ত বেনিফিট পাওয়ার অধিকারী তা আপনি দাবি করছেন কিনা তা পরীক্ষা করুন।

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে জীবনযাত্রার ব্যয় সহায়তার পৃষ্ঠাগুলিতে আপনার জন্য উপলব্ধ সহায়তা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকার কথা উল্লেখ করে মেয়র লুৎফুর রহমান বলেন, “এর মধ্যে রয়েছে আমার এনার্জি ফান্ড স্কিম এবং শিশু, পরিবার ও বয়স্কদের সহায়তার জন্য আমি যে অনুদান গুলো প্রবর্তন করেছি, সেগুলো কিভাবে পাওয়া যাবে তার যাবতীয় তথ্যাদি।বারার বাসিন্দাদের জন্য কাউন্সিলের সহায়তামূলক উদ্যোগসমূহের মধ্যে রয়েছে কাউন্সিল ট্যাক্স হ্রাস প্রকল্প, রেসিডেন্টস সাপোর্ট স্কিম, ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য সর্বজনীন বিনামূল্যে স্কুল খাবার, স্কুল ইউনিফর্ম অনুদান, স্বল্প—আয়ের পরিবারে শিশুদের জন্য স্কুল বন্ধকালীন সময়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা, স্থানীয় খাবারের প্যান্ট্রিগুলোকে সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি স্থানীয় উপদেশ পরিষেবায় অর্থায়ন এবং দারিদ্র্য মোকাবেলায় নিয়োজিত একটি আউটরিচ টিম।মেয়র বলেন, “মাত্র গত সপ্তাহেই, আমি শিক্ষা অব্যাহত রাখতে ভাতা (ইএমএ) এবং ইউনিভার্সিটি বার্সারি অ্যাওয়ার্ড স্কিমগুলি পুনঃস্থাপনের ঘোষণাও করেছি। গোটা ইংল্যান্ডের মধ্যে টাওয়ার হ্যামলেটস হচ্ছে একমাত্র বারা যারা এই ইএমএ বা এডুকেশন মেইন্টেন্যান্স এলাউন্স অফার করেছে।

শিক্ষার্থীদের জন্য প্রণোদনা মূলক এই স্কিমগুলি তরুণদের জন্য আর্থিক চ্যালেঞ্জগুলিকে কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং পড়াশোনা চালিয়ে যেতে, তাদের শিক্ষাকে ত্বরান্বিত করতে এবং জীবনযাত্রার ব্যয়—সংকট সত্ত্বেও তাদের সম্ভাবনা পূরণ করতে তাদেরকে আত্মবিশ্বাস ও উৎসাহ যোগাবে” বলে মন্তব্য করেন মেয়র লুৎফর রহমান।তিনি জানান, সপ্তাহের শুরুতে স্কিমটি চালু হওয়ার পর থেকে এরই মধ্যে আমরা ৪৫০ টিরও বেশি আবেদন পেয়েছি, যা নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার খবর। ইএমএ এবং ইউনিভার্সিটি বার্সারি অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদন করার সময়সীমা হল ১ জানুয়ারি ২০২৩। তাই আপনি যদি মনে করেন আপনি এটি পাওয়ার যোগ্য, তাহলে আবেদন করতে ভুলবেন না!”

You might also like