জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদের মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
পটুয়াখালী: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শহীদ জসিম উদ্দিন হাওলাদারের কলেজপড়ুয়া মেয়েকে (১৭) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।এ ঘটনায় বুধবার ভুক্তভোগী নিজে দুমকি থানায় অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন ভুক্তভোগী।পুলিশ ও ধর্ষণের শিকার পবিবারের সদস্যরা জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর জেলার দুমকী উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে শহিদ জসীম উদ্দীনের মেয়ে তার বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ি একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে যাচ্ছিলেন। পথে নলদোয়ানী থেকে অভিযুক্ত পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আলগী গ্রামের মামুন মুন্সির ছেলে সাকিব মুন্সি এবং সোহাগ মুন্সির ছেলে সিফাত মুন্সি তার পিছু নেয়।
রাস্তায় হঠাৎ মুখ চেপে ধরে তাকে পার্শ্ববর্তী জলিল মুন্সির ভিটা বাগানে নিয়ে যায় এবং সেখানে সাকিব ও সোহাগ তাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষকরা তার নগ্ন ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।এ ঘটনায় মামলা হলে সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায় পুলিশ।এ বিষয়ে দুমকি থানার ওসি জাকির হোসেন জানান, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। অপর অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার গাড়ি চালক জসিম উদ্দীন হাওলাদার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকার মোহাম্মদপুরে গুলিবিদ্ধ হন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে জসিমের স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ছুটে যান। পরে গুলিবিদ্ধ জসিমকে ২১ জুলাই মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করে আইসিইউতে রাখা হয়।দু’দিন পর সেখানে তার একটা অপারেশন করা হয়। কিন্তু এরপর আর জ্ঞান ফেরেনি জসিমের। পরের দিন ২২ জুলাই জসিমকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় এবং এভাবে ১১ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষপর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হেরে যান জসিম।১ আগস্ট তার মরদেহ পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার দক্ষিণ পাঙ্গাশিয়া নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়। এরপর থেকে জসিমের স্ত্রী পার্শ্ববর্তী বাবার বাড়িতেই থাকতেন।