জেনারেল এমএজি ওসমানী দেশের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করেছেন :অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি বঙ্গবীর জেনারেল এমএজি ওসমানী ছিলেন আমাদের জাতীয় ইতিহাসের উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে সমগ্র জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। তাঁকে ছাড়া বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা করা যাবে না। ওসমানীর ঘটনাবহুল ব্যতিক্রমী জীবন ও কর্ম এবং তাঁর অনুকরণীয় জীবনাদর্শ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেণার উৎস।তিনি বলেন, জীবনের সকল ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে তিনি নিজেকে একজন আজীবন গণতন্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সততা, নীতিনিষ্ঠা, ন্যায়পরায়ণতা, আদর্শবাদিতা, সময়জ্ঞান এবং নিখাঁদ দেশপ্রেম তাঁকে একজন অনন্য সাধারণ মানবরূপে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছে। তিনি সর্বকালে বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতির জন্য এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবেন।

১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধায় নগরির ধোপাদিঘীরপাড়স্থ ওসমানী যাদুঘর প্রাঙ্গনে মহান মুক্তিযুদ্ধের সেনাপতি (সিইনসি) জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী’র ১০৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোবারক হোসেন’র সভাপতিত্বে ও কাজী জালাল উদ্দিন বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুনা সুলতানার সঞ্চালনায় প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন বঙ্গবীর ওসমানী গবেষণা ইনস্টিটিউট’র চেয়ারম্যান যুদ্ধাহ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এমএ মালেক খান, বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ও কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালের স্পেশাল পিপি ড. সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম, সদর উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী ইরশাদ আলী, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযেদ্ধা এসএম নাজিম উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন খন্দকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওসমানী জাদুঘরের সহকারী কিপার জিয়ারত হোসেন খান। বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ সমিতি সিলেটের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের চৌধুরী, অধ্যক্ষ বিজিত রঞ্জন বৈদ্য। শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন রিফাত ও ঐশি রঞ্জন বৈদ্য। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলাম মর্তুজা ও পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন অনিকেত রায়।পরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৩৮জন শিক্ষার্থীর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।

You might also like