টাওয়ার হ্যামলেটসে চীনা দূতাবাসের প্ল্যানিং এপ্লিকেশন প্রত্যাখ্যান করেছে কাউন্সিল

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

টাওয়ার হ্যামলেটস: টাওয়ার অব লন্ডনের বিপরীতে অবস্থিত রয়্যাল মিন্ট কোর্ট কমপ্লেক্সকে চীনা দূতাবাস হিসেবে পুনর্গঠনের জন্য চীনা কর্তৃপক্ষের প্ল্যানিং এপ্লিকেশন (পরিকল্পনা আবেদন পত্র) প্রত্যাখ্যান করেছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল।৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, সোমবার কৌশলগত উন্নয়ন কমিটির একটি বিশেষ সভায় এই আবেদন নিয়ে আলোচনা হয়। তবে, সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যাঞ্জেলা রেইনার এমপি গত ১৪ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে এটি ‘কলড ইন’ করার পর এখন এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের নিরাপত্তা, ঐতিহ্য রক্ষা, পুলিশ সংস্থার ওপর চাপ এবং যানবাহন ও পথচারী চলাচলে বাধার মতো বিষয়ে উদ্বেগ থাকার কারণে স্ট্র্যাটেজিক ডেভেলপমেন্ট কমিটি এই আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে।

এই বিষয়ে স্থানীয় পর্যায়ে একটি তদন্ত শুরু হবে, যা জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে শুরু হওয়ার আশা করা হচ্ছে। এই তদন্তে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করা হবে।
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র বলেন, “গত রাতে (৯ ডিসেম্বর) কৌশলগত উন্নয়ন কমিটি (স্ট্র্যাটেজিক ডেভেলপমেন্ট কমিটি) রয়্যাল মিন্ট কোর্ট কমপ্লেক্স পুনর্গঠনের পরিকল্পনা ও তালিকাভুক্ত ভবন সংক্রান্ত অনুমোদন আবেদনগুলো নিয়ে আলোচনা করেছে।“সভায় প্ল্যানিং এপ্লিকেশনের ব্যাপারে আপত্তিকারী, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং কমিটির সদস্যদের তোলা বিভিন্ন উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটি এই আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে, কারণ এতে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের নিরাপত্তার ওপর প্রভাব, ঐতিহ্যের ক্ষতি, পুলিশের উপর বাড়তি চাপ এবং যানজটপূর্ণ এলাকায় যানবাহন ও পথচারী চলাচলের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা ছিল।”
এখন, জাতীয় গুরুত্বের বিষয় বিবেচনা করে এবং সরকারি নীতি অনুযায়ী সেক্রেটারি অফ স্টেট প্রয়োজন হলে আবেদনের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারেন।বর্তমান আবেদনটি লন্ডনস্থ চীনা দূতাবাস কর্তৃক ১৬ জুলাই, ২০২৪ তারিখে জমা দেওয়া হয়েছিলো। একটি আলাদা লিস্টেড বিল্ডিং কনসেন্ট এপ্লিকেশন অর্থাৎ অনুমোদনের আবেদনপত্রও একই দিনে জমা দেওয়া হয়, যা রয়্যাল মিন্ট স্থানে পুনর্গঠনের জন্য প্রস্তাবিত।ডিসেম্বর ২০২২ সালে, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল একই ধরনের আরেকটি আবেদন চারটি কারণে প্রত্যাখ্যান করেছিল। সেগুলো হলো:
১) নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার ওপর নেতিবাচক প্রভাব, যা পুলিশের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে।
২) পর্যটকদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব, বিশেষ করে বিক্ষোভ বা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারণে।
৩) স্থানীয় সড়ক নেটওয়ার্কে যানজট বৃদ্ধি, যা বিক্ষোভ ও অন্যান্য ইভেন্টের কারণে আরও খারাপ হতে পারে।
৪) ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার ওপর নেতিবাচক প্রভাব।

You might also like