টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সিভিক অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হলেন সাংবাদিক মোঃ জাহেদী ক্যারল
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডন: ব্রিটেনের রাজার রাজ্যাভিষেকের বছর লন্ডন ব্যুরো অব টাওয়ার হ্যামলেট্স কাউন্সিলের মর্যাদাবান সিভিক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন মানবিক ও সেবামূলক কাজে সম্পৃক্ত লেখক, সাংবাদিক ও সংগঠক মোঃ আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল। কমিউনিটির কল্যাণে অসামান্য অবদান রাখায় তিনি এ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। মোঃ জাহেদী ক্যারল বিভিন্ন সামাজিক ও ইসলামিক সংগঠনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থেকে বছরের পর বছর ধরে কমিউনিটির কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
মঙ্গলবার (২ মে ২০২৩ খ্রি.) বিকেলে পূর্ব লন্ডনের দ্যা আর্টস প্যাভিলিয়নে টাওয়ার হ্যামলেট্স কাউন্সিলের উদ্যোগে এক অনাড়ম্বর ও জমকালো অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই সিভিক অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। সন্ধ্যা ৭টায় বারার স্পিকার কাউন্সিলার শাফি আহমেদের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লন্ডন ব্যুরো অব টাওয়ার হ্যামলেট্স কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর মায়ূম তালুকদার, ইন্টারমিন চীফ এক্সকিউটিভ স্টিফেন হালসি, জি এল এ মেম্বার উমেষ দেসাই। এছাড়া অনুষ্ঠানে লিড মেম্বার কাউন্সিলর, কাউন্সিলারসহ অন্যান্য কাউন্সিলারগণ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মোঃ ক্যারলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত ১২জনকে নিজস্ব অবস্থান থেকে কমিউনিটির উন্নয়নে অবদান রাখায় ভূয়সী প্রশংসা করে স্পিকার ও অতিথিবৃন্দ তাদের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারীর সময় কাউন্সিল অব মস্ক টাওয়ার হ্যামলেট্স এর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের জন্য ব্রিটেনে বাংলাদেশীদের পরিচিত মুখ সাংবাদিক মোঃ আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল সিভিক অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন। এটি ব্রিটেনের অন্যতম প্রেসটিজিয়াস অ্যাওয়ার্ড। প্রতি বছর একটি নিরপেক্ষ বোর্ড-এর মাধ্যমে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিকতা এবং চ্যারিটি কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এই অ্যাওয়ার্ড মনোনয়ন করা হয়।
স্বপ্নবান তারুণ্যের উজ্জ্বল প্রতিনিধি মোঃ আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মোঃ আব্দুর রহিম জাহেদী ও মাতা রেজিয়া খানম। তাঁর গ্রামের বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলাধীন হিলালপুরে। তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় নিজগ্রাম হিলালপুর বরায়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরে তিনি আতহারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেন। এর অব্যবহিত পরেই অর্থাৎ ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দের ২২ জানুয়ারি তিনি পিতামাতার সাথে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। তিনি সিটি এন্ড ইস্ট লন্ডন কলেজ, হ্যাকনি কলেজ ও সবশেষে লন্ডন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করেন। এই সময় তিনি স্থানীয় ইয়ুথ ক্লাবে পার্টটাইম জব ও বিভিন্ন ভলান্টারি সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। লন্ডন জীবনের প্রথম দিকে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন কিছুকাল। তিনি ইউরোপের সর্ববৃহৎ ইসলামিক প্রতিষ্ঠান লন্ডন মুসলিম সেন্টার (এলএমসি) ও ইস্ট লন্ডন মসজিদের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে মিডিয়া কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এছাড়া তিনি টাওয়ার হ্যামলেটস-এর ৫৫টি মসজিদের সংগঠন ‘কাউন্সিল অব মস্ক’-এর কোষাধ্যক্ষ। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করছেন। তিনি ব্রিটেন থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ইউরো বাংলা পত্রিকা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বিজলিন্ক এসোসিয়েট গ্রুপের চেয়ারম্যান, সিলেটের দৈনিক জালালাবাদ সিন্ডিকেট-এর পরিচালক, জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইউকের প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি, সিলেটে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ইউকে কমিটির প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি, রেজিয়া-রহিম মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-এর চেয়ারম্যান, রেজিয়া-রহিম গণপাঠাগার-এর প্রতিষ্ঠাতা, গোলাপগঞ্জ ইসলামিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ফুলবাড়ি ইউনিয়ন সোসাইটি ইউ.কে-এর প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি, লন্ডন-বাংলা ডটকম ও খই ঞঠ-এর সম্পাদক, অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক ইউরো বাংলার সম্পাদক, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক জালালাবাদ-এর লন্ডন ব্যুরো প্রধান ও স্টার লাইট একাডেমিসহ অসংখ্য সামাজিক, ইসলামিক ও ব্যবসায়িক সংগঠনের সাথে সক্রিয় রয়েছেন। হিউম্যান রাইট ইউকে, বাংলাদেশী মুসলিম ইন ইউকে, গ্রেটার সিলেট ডেভেলপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইউকে, গোলাপগঞ্জ হেল্পিং হ্যান্ডস ইউকে, গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউ’কে, ঞ৫ ট্রেনিং সেন্টারসহ বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে দেশ বিদেশে অনেক জনকল্যাণমুখী, সামাজিক ও ইসলামিক কাজ করে মানবসেবায় নিজেকে নিবেদিত করছেন।
মোঃ আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল পূর্ব লন্ডনে অবস্থিত লন্ডন এডুকেশন ট্রাস্ট-এর একটি প্রতিষ্ঠান ‘ইকরা ইনস্টিটিউট’ নামে একটি মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে প্রাণান্ত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। একঝাঁক সাহসী ও মেধাবী ধর্মীয় মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের সফল এই উদ্যোগের ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এছাড়া তিনি ব্লুগেইট ফিল্ড স্কুলের স্কুল গভর্নর ছিলেন।
মোঃ আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল বাংলাদেশিদের দ্বারা পরিচালিত বিলেতের সর্ববৃহৎ যুব সংগঠন ‘ইয়ং মুসলিম অর্গানাইজেশন ইউকে’র কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ছিলেন। এই সংগঠনের মাধ্যমে সারা দেশব্যাপী যুব সমাজের মধ্যে দাওয়াতি কাজ পরিচালিত হয়। তিনি ছোটবেলা থেকেই সাহিত্য-সংস্কৃতির সাথে জড়িত। তার অনেক কবিতা, ছড়া ও প্রবন্ধ বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। সাহিত্য সংগঠক হিসেবেও তার সুখ্যাতি রয়েছে। তিনি সুরমা ইয়ং রাইটার্স গ্রুপ ও নিউমুন ইয়ং রাইটার্স এন্ড আর্টিস্ট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সংলাপ সাহিত্য-সংস্কৃতি ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম মেম্বার, সংহতি সাহিত্য পরিষদ, বাংলাদেশ সাহিত্য পরিষদ, রেনেসাঁ সাহিত্য মজলিশ, মুসলিম সাহিত্য সংসদ সিলেট, মোবাইল পাঠাগার সিলেটসহ বিভিন্ন সংগঠনের দাতা ও আজীবন সদস্য।
বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের বিকাশেও মোঃ আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল সহায়ক ভূমিকা পালন করেন। ২০০৭ সালে তিনি লন্ডনে একটি হাউজিং ফেয়ার করে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেন। সিলেটের উল্লেখযোগ্য হাউজিং কোম্পানিসমূহ তখন অংশগ্রহণ করেছিল। রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং গ্রুপ অব সিলেটের উদ্যোগে আয়োজিত এই ফেয়ারের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ব্রিটেনের জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থা মিডিয়া মহল। এই হাউজিং ফেয়ারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অনেক সহায়ক হয়েছে। ব্যক্তিজীবনে তিনি ইউরোপের প্রায় সবকটি দেশ, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্য, বসনিয়া, মরক্কো, আলবেনিয়া, ভিয়েনা, মিশর, মিউনিক, জার্মানি, বুলগেরিয়া, তিউনিসিয়া, কেলকাটা, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াসহ প্রায় ৩০টি দেশ ভ্রমণ করেছেন।
আব্দুল মুনিম ক্যারল একজন আদর্শ বাবার সন্তান। তার পিতা মরহুম আব্দুর রহিম জাহেদী ছিলেন সফল ব্যবসায়ী, সমাজসেবক, পরোপকারী ও দাওয়াতী কাজের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। তিনি ইস্ট লন্ডন মসজিদের চেয়ারম্যান, ইসলামিক ফোরাম ইউরোপের কেন্দ্রীয় মজলিশে সূরার সদস্য ও ট্রেজারার, স্টেপনি গ্রীন স্কুলের প্যারেন্ট গভর্নরসহ সুনামের সাথে বিভিন্ন সংগঠনের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। সারাটা জীবন তিনি নিজের পরিবারের মতো অত্মীয়স্বজন ও অন্যান্যদের সেবাদান করেছেন।
পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে মোঃ আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল ও তার ভাইবোনেরা মানবতার কল্যাণে বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও ইয়াতিমখানা প্রতিষ্ঠায় এবং গরিব-অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন অবিরাম। পিতামাতার ইন্তেকালের পর ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে প্রথমেই মা-বাবার নামে গোলাপগঞ্জ উপজেলাধীন কুনাচর মহিলা মাদরাসার একটি ভবন নির্মাণ করে দেন। এছাড়া নিজের এলাকায় অনেক গরিব-অসহায়, সম্বলহীনদের গৃহ নির্মাণ, ইয়াতিমদের বিয়েশাদি, চিকিৎসাসেবা ও অনেকের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত সমাজ গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন নীরবে। বাংলাদেশের সিডরের সময় মোঃ আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল মুসলিম এইডের সাথে বরগুনা, বরিশাল, খুলনাসহ সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে নিজ হাতে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশে তিনি মহামারি ও দুর্যোগকালীন সময়ে আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন।
সাম্প্রতিক করোনা মহামারীর চরম দুঃসময়ে গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ি ইউনিয়নে ও আশেপাশের এলাকায় তার পৃষ্ঠপোষকতায় এবং হিলালপুর শাপলা সমাজকল্যাণ সংঘের আয়োজনে অসহায়দের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। শীত মৌসুমে নিজের এলাকা জুড়ে গরিব-অসহায় ও প্রতিবন্ধীদের জন্য তিনি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ঔষধ বিতরণ করে থাকেন। তার সার্বিক সহযোগিতায় গোলাপগঞ্জের হিলালপুরে ফ্রি সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু হয়েছে। ঞ৫ প্রফেশনাল ট্রেইনিং সেন্টার এর মাধ্যমে পোশাক শিল্পে দক্ষ জনশক্তি গড়া ও দরিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে শতভাগ কর্মসংস্থান করাই-এর উদ্দেশ্য। কর্মহীনদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তিনি আন্তর্জাতিকমানের চ্যারিটি সংস্থা জমজম চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-এর একজন পরিচালক। জমজম একটি যুক্তরাজ্যের নিবন্ধিত সামাজিক ট্রাস্ট। অসহায়-দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রায় উন্নতি করতে-এর যাত্রা শুরু হয় ২০০৩ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে। জমজমের মূল লক্ষ্য হলোÑসচেতনতা প্রচার করা, তহবিল সংগ্রহ করা এবং বিশ্বের কিছু দরিদ্রতম মানুষের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে প্রচেষ্টা চালানো। মূলত মোঃ জাহেদী ক্যারল বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে মানবকল্যাণে কাজ করছেন। এই অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন। এ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তিতে তিনি বলেন, কোনো স্বীকৃতির পাওয়ার আশায় আমরা সমাজের জন্য কাজ করি না। বিগত চল্লিশ বছর ধরে, কমিটির কল্যাণের জন্য কাজ করছি শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ও কমিউনিটির মানবতার কল্যাণে। একমাত্র মানবতার সেবায় নিয়োজিত করেছি সারাজীবন, কোনো পুরস্কার বা স্বীকৃতির প্রত্যাশা ছাড়াই কাজ করে যাচ্ছি অবিরাম। আমার প্রয়াত বাবাও ছিলেন সমাজকল্যাণের একজন নিবেদিত প্রাণ এবং তিনি তার পুরো জীবন বিলীন করেছেন মানুষকে সাহায্য ও কল্যাণের জন্য। বিনিময়ে কিছু নেননি, শুধু দিয়েই গেছেন। একজন আদর্শ পিতার শিখানো পথে এগিয়ে যাচ্ছি। আমি তাঁর অনুসরণ করার এবং তাঁর শিক্ষা ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করি।
আমার স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যদেরকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি মাননীয় স্পিকার, মেয়র এবং যারা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন এবং ভোট দিয়েছেন সিভিক অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার জন্য তাদের সকলের প্রতি। এই স্বীকৃতি একটি অনবদ্য সম্মান যার দ্বারা অনেক ব্যক্তি নতুন উদ্যমে সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং চ্যারিটি কাজে নিযুক্ত হতে অনুপ্রেরণা লাভ করবে। যারা আমাকে কমিউনিটি সেবার জন্য বিভিন্ন সময়ে উৎসাহ-অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। বাকিজীবন আমি মানবতার কল্যাণে কাটিয়ে দেবো। আমি চাই, এ স্বীকৃতি আমার মতো সকলকে উৎসাহিত করুক।