টেকসই শান্তির জন্য জাতিসংঘ পুলিশের যেকোনো উদ্যোগে অবদান রাখবে বাংলাদেশ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ টেকসই শান্তি ও উন্নয়নে জাতিসংঘ পুলিশের যেকোনো উদ্যোগে অবদান রাখতে বাংলাদেশ পুলিশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে জাতিসংঘ পুলিশ প্রধানদের সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত ‘জাতিসংঘ পুলিশের অংশগ্রহণে টেকসই শান্তি ও উন্নয়ন’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।নিরাপত্তা ও উন্নয়ন পরস্পর নির্ভরশীল এবং এটি পারস্পরিকভাবেই শক্তিশালী একথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন কর্মকান্ডের সুবিধার্থে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখাতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও সুসংগত দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে’।সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ভঙ্গুরতার মূল কারণ চিহ্নিত করে ওইসব দেশে মৌলিক সেবা প্রদান, অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক সংস্কার বাস্তবায়নে দেশসমূহের সরকারি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে জাতিসংঘকে সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ পুলিশ, জাতিসংঘের কান্ট্রি টিম ও সংস্থা এবং জাতীয় কর্তৃপক্ষসহ সংশি¬ষ্ট সকলের মধ্যে একটি সুসংগত ও সমন্বিত ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন’।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিরাপত্তা খাত সংস্কারে জাতিসংঘ পুলিশিং এর ভূমিকা এবং ম্যান্ডেট অনুযায়ী আইনের শাসন জোরদার ও বিশেষায়িত পুলিশ টিমের (এসপিটি) উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় মাঠ পর্যায়ে আরও অধিক নারী পুলিশ মোতায়েন এবং সিনিয়র পদে নারী পুলিশ কর্মকর্তা বৃদ্ধির প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে দক্ষ নারী পুলিশ অফিসার এবং সুসজ্জিত পুলিশ ইউনিটগুলোতে অবদান রাখতে বাংলাদেশ পুলিশের প্রস্তুতির কথা উলে¬খ করেন তিনি।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে পরিবেশগত ঝুঁকি কমাতে নবায়নযোগ্য শক্তি এবং প্রাকৃতিক আঁশ-ভিত্তিক পণ্য ব্যবহারের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘শান্তিরক্ষীরা মোতায়েন রয়েছে এমন দেশগুলোতে এই পদক্ষেপ টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি ইতিবাচক ভূমিকা রেখে যাবে’। বাংলাদেশ ইতালির সাথে এমন একটি গ্রুপ অব ফ্রেন্ডসের নেতৃত্ব দেয়, যারা জাতিসংঘের পরিবেশগত কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবেশগত নেতিবাচক দিক হ্রাস করার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লে¬খ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

পুলিশ প্রধানদের সম্মলেন উপলক্ষে আয়োজিত এই ইভেন্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।এদিকে বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্থায়ী মিশনে ইউএন উইমেনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মিজ অনিতা ভাটিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকে নারী শান্তি ও নিরাপত্তা এজেন্ডা এবং লিঙ্গ সংবেদনশীল বাজেট প্রবর্তনের ক্ষেত্রে নারী উন্নয়নে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মিজ ভাটিয়া বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ইউএন উইমেনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উভয়েই সক্ষমতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মসূচির মাধ্যমে সাইবার সহিংসতাসহ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সম্ভাব্য সহযোগিতা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন।

You might also like