ঢাকা-দিল্লি সব সেক্টরাল মিটিং শেষ করে জেসিসি করতে সম্মত
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
নয়াদিল্লি: বাংলাদেশ ও ভারত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সকল সেক্টরাল মিটিং সম্পন্ন করার পর জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) বৈঠক করতে সম্মত হয়েছে।কূটনৈতিক সূত্র এখানে বাসসকে জানিয়েছে, আজ বিকেলে এখানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উভয় পক্ষ এ ব্যাপারে সম্মত হয়।ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ডিজি এ টি এম রকিবুল হক এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের স্মিতা পন্ত, জেএস (বিএম) অন্যান্যের মধ্যে বৈঠকে যোগ দেন।সূত্র জানায়, দুই পররাষ্ট্র সচিব আগামী মে-জুন মাসে প্রত্যাশিত জেসিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে উভয় দেশের মধ্যে স্বরাষ্ট্র, পানি ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন সেক্টর পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠানে সম্মত হয়েছেন।
জেসিসি বৈঠকের আগে সেক্টরাল বৈঠকে প্রধানত পানি বণ্টন, বাণিজ্য ও নিরাপত্তাসহ সকল সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে।বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তার ভারতীয় সমকক্ষ যৌথভাবে জেসিসি সভায় সভাপতিত্ব করবেন।কোভিড-১৯ এর কারণে সেপ্টেম্বরে ঢাকায় ভার্চুয়াল ফরম্যাটে জেসিসির ষষ্ঠ রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর সভায় সহ-সভাপতিত্ব করেন।আজকের বৈঠকে দুই পররাষ্ট্র সচিব পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাপক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং দুই বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশের বিকাশমান সম্পর্কের গতি বজায় রাখার ওপর জোর দেন।বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার আমন্ত্রণে তিন দিনের ভারত সফরে চেন্নাই থেকে আজ নয়াদিল্লি এসেছেন।শ্রিংলা গত বছরের ডিসেম্বরে তার তিন দিনের অফিসিয়াল বাংলাদেশ সফরের সময় মোমেনকে এ আমন্ত্রণ জানান।
মোমেন গতকাল ঢাকা থেকে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের চেন্নাই যান।সেখানে তিনি বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।পররাষ্ট্র সচিব মোমেন আগামীকাল ঢাকার উদ্দেশে নয়াদিল্লি ত্যাগ করবেন।তিনি সর্বশেষ গত বছরের ২৭-২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ-ভারত বার্ষিক ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারত সফর করেন।উভয় দেশের পররাষ্ট্র সচিব এফওসি’তে তাদের সম্মানিত প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। তারা কোভিড-১৯ সহযোগিতা থেকে শুরু করে নিরাপত্তা ইস্যু পর্যন্ত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক দিক পর্যালোচনা করেন।