ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই,ইউকে’র ভাষা দিবস উদযাপন

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

লন্ডন: ‘ভাষা শহীদরা যে শুধু নিজেদের মাতৃভাষা রক্ষা করেছেন তাই নয়, বরং তাদের আত্মত্যাগের সিঁড়ি বেয়ে বাংলাদেশ আজ অনেক বিলুপ্তপ্রায় ভাষাকে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববাসী আজ নিজ নিজ মাতৃভাষার প্রতি আকৃষ্ট ও যত্নবান হচ্ছে।‘

২৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকে’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার মোহাম্মদ জুলকারনাইন।

সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেওয়ান গৌস সুলতানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুর রাকীবের সঞ্চালনায় ভার্চুয়ালী অনুষ্ঠিত ভাষা দিবসের এ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” গানটি পরিবেশন করেন মোস্তফা কামাল মিলন। মুজিব বর্ষের এ অনুষ্ঠানে এর পূর্বে ভাষা আন্দোলন ও সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু করেন মুহাম্মদ আব্দুর রাকীব। ভাষা শহীদ ও বঙ্গবন্ধু স্মরনে এবং সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন অধ্যাপকের মৃত্যুতে অনুষ্ঠানে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন। শাহগীর বক্ত ফারুকের সমর্থনে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন, হাবিব রহমান, আবু মুসা হাসান, সৈয়দ এনামুল ইসলাম, সৈয়দ হামিদুল হক, মারুফ চৌধুরী, মির্জা আসাহাব বেগ, কামরুল হাসান, রাজিয়া বেগম, চন্দন মিয়া, সালেহ মাহমুদ জাহাঙ্গীর (যুক্তরাষ্ট্র থেকে) ও নার্গিস মুনির ।

বক্তারা বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পকে পরাভূত করে ভাষা আন্দোলনের অসাম্প্রদায়িক চেতনা আজ বাংলাদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশ্ববাসীর জন্য বাংলাদেশের এক অনন্য রক্তিম উপহার। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ বপন করা হয়।  বাংলাদেশ সল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার  খবরে স্বস্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশের জনগণ, সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুষ্ঠানে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। সমাপনী বক্তৃতায় অনুষ্ঠানের সভাপতি  আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সল্পোন্নত দেশ হওয়ার ধারাবাহিকতায় এবং ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিবেচনায় বাংলা অচিরেই জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে।

দেশ বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক প্রাক্তন শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

সহ-সভাপতি সিরাজুল বাসিত চৌধুরীর পরিচালনায় ও রীপা সুলতানা রাকীব, মেহেরুন আহম্মেদ ও এলিনা সিদ্দিক সুপ্রভার উপস্থাপনায় অ্যালামনাই ও তাদের পরিবারের অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন রীপা রাকীব, বেলাল রশিদ চৌধুরী, গৌরী চৌধুরী, তারেক সাঈদ (বাংলাদেশ থেকে), তামান্না ইকবাল, স্যামুয়েল চৌধুরী, অমল পোদ্দার, কাজী কল্পনা ও সৈয়দ জুবায়ের। আবৃত্তিতে অংশ নেন নীলুফা হাসান, এম কামরুল হাসান, সাদিয়া গাজী অন্তরা, সৈয়দ ইকবাল, সৈয়দ তারিকুল ইসলাম এবং এস এম মোস্তাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠান আয়োজনে গত কয়েকদিন যারা অজস্র পরিশ্রম করেছেন অ্যালবামটাই সাধারণ সম্পাদক তাদের ধন্যবাদ জানান তাঁর বক্তৃতায়। তিনি এই অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করার জন্য লন্ডন বাংলা ভয়েস ফেইসবুক অনলাইন টিভির জাকির হোসেন কয়েসকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধান অতিথি ও মান্যবর হাইকমিশনার (যিনি অন্য ব্যস্ততায় যুক্ত হতে পারেন নি) সহ স্হানীয় ও বিদেশ থেকে যারা যুক্ত হয়ে এ অনুষ্ঠানকে সফল করেছেন তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সভাপতি দেওয়ান গৌস সুলতান সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

You might also like