ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আ্যলামনাই ইন দ্য ইউকে আয়োজিত দ্বৈত শতবর্ষ পালনের প্রথম ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনস্বীকার্য – অধ্যাপক ড: ইমতিয়াজ আহমেদ
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানের অবনতির জন্য দায়ী ধনিক ও রাজনৈতিক এলিট শ্রেণীর অব্যাহত অবহেলা উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আ্যলামনাই ইন দ্য ইউকের আয়োজিত ভার্চুয়াল দ্বৈত শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড: ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বে একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যার সবচেয়ে বেশীসংখ্যক শিক্ষক ও ছাত্র মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার শিকার হয়েছেন। একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যার ছাত্ররা প্রথম জাতিয় পতাকা উত্তোলন করে রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাতে তুলে দিয়েছিলো। বস্তুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় না হলে বাংলাদেশ হতো না। তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক বিকাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক ভূমিকা নিয়ে কারো কোন দ্বিমত নেই। এই স্বীকৃতির প্রমাণ হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেটি একটি জাতীয় অনুষ্ঠান (ভাষা শহীদ দিবস) পরিচালনা করে। একুশে ফেব্রুয়ারীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
অধ্যাপক আহমেদ আরো বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সুতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাই স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশের মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসন এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রশাসন ব্যবস্থা চালু করেন। কিন্তু শিক্ষাপ্রশাসন গণতান্ত্রয়ন শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারেনি। কারন ‘বেড মানি ড্রাইভস এয়েয়ে গুড মানি’। গুণী শিক্ষকরা নেতৃত্বে আসতে পারেন না কারণ তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনে অংশ নিতে সংকোচ বোধ করেন। নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন কতটুকু কার্যকরী হবে তা নিয়ে স্বয়ং বঙ্গবন্ধুরও সংশয়ে ছিল।
ড: আহমেদ বলেন, স্বাধীনতার পর গত ৫০ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান কমে যাওয়া এবং বিশ্ব র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে পরার প্রধান কারন বিশ্ববিদ্যালয়ের অপ্রতুল আর্থিক সামর্থ। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তুলনা করে বলেন যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট যেখানে বছরে ১০২ মিলিয়ন ডলার, হার্ভার্ডে তা ৫.৪ বিলিয়ন ডলার। আর্থিক সামর্থ্য থাকলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও বিশ্বমানের নোবেল বিজয়ী শিক্ষক ও বিশ্বমানের গবেষণা অবকাঠামো গড়ে তুলতে পারতো, যা বিশ্ব র্যাংকিংয়ে উঁচু স্থান পাওয়ার প্রধান শর্ত।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা মানের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পরার জন্য বাংলাদেশের ধনিক ও রাজনৈতিক এলিট শ্রেণীকে দায়ী করে বলেন যে, এই শ্রেণী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিত্যাগ করেছেন। উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর তাদের আস্থা বা ভালোবাসা নেই। তাই নিজেদের মেধাবী ছেলেমেয়েদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়িয়ে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠিয়ে দেন। এদের বেশীরভাগই আর দেশে ফিরে আসেন না। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেমন মেধাবী শিক্ষার্থী থেকে বঞ্চিত হয়, তেমনি জাতি বঞ্চিত হয় এদের সেবা থেকে।
ড: ইমতিয়াজ এ প্রসঙ্গে আরো উল্লেখ করেন যে, নিজের সন্তানকে পাঠাতে হয় না বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের ব্যাপারে এলিট শ্রেণীর কোন আগ্রহ নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আ্যলামনাই ইন দ্য ইউকে’র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ ও মুজিব শতবর্ষের তিনমাস ব্যাপী উৎসবের অংশ হিসাবে আয়োজিত দুটি ওয়েবিনারের প্রথমটি অনুষ্ঠিত হয় ৩১শে জুলাই।
বাংলা একাডেমি পদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক, শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড: সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। প্রথমটি ছিল ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: গণতন্ত্র বনাম গুণতন্ত্র (মেরিটোক্রাসি)’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ও সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড: ইমতিয়াজ আহমেদ তাঁর প্রবন্ধ উপস্থাপনাকালে উপরোক্ত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
প্রবন্ধের উপর অপর আলোচক হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক প্রতিথযশা শিক্ষক, উইমেন এন্ড জেন্ডার বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সায়িদ শেখ ইমতিয়াজ।
‘দ্য রোল অব ঢাকা ইউনিভার্সিটি ইন প্রমোটিং জেন্ডার রাইটস এন্ড ইনক্লুসিভ এডুকেশন’ শীর্ষক দ্বিতীয় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ওপেন ইউনিভার্সিটির প্রোভিসি এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ, লন্ডনের ভিজিটিং অধ্যাপক ড: মাহবুবা নাসরীন।
এই প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ত্রপলোজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড: যোবাইদা নাসরীন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতান এবং যুগ্ন সম্পাদক সৈয়দ ইকবাল।
অধ্যাপক আহমেদ প্রবাসে নতুন প্রজম্মের বাংলাদেশী ডিয়াস্পোরার স্কলাররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সামগ্রিকভাবে দেশে উচ্চ শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন বলে মত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন তাঁরা প্রবাসে থেকেই যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশে শিক্ষা দান ও গবেষণায় অংশ নিতে পারেন। তিনি চীনসহ শিক্ষাক্ষেত্রে সফল দেশের উদাহরণ দিয়ে বলেন আমাদের রাষ্ট্রকেও বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। তিনি দেশের ৬৪ জেলায় ৬৪টি সেন্টার অব একাডেমিক এক্সেলেন্স প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে বলেন এর ফলে বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে তথাকথিত আমেরিকান ড্রিম বা ইউরোপীয়ান ড্রিম এর বদলে বাংলাদেশ ড্রিম ফিরে আসবে। বন্ধ হবে মেধা পাচার।
প্রবন্ধের আলোচক অধ্যাপক সৈয়দ শেখ ইমতিয়াজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেধাশুন্যতার প্রক্রিয়া বিষয়ে অধ্যাপক ড: ইমতিয়াজ আহমদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বলেন ঐতিহাসিকভাবে এলিট শ্রেণীর নয় বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী ছাত্র শিক্ষকদের প্রায় সবাই প্রান্তিক কৃষকের সন্তান। তবে তিনি দেশের নীতি নির্ধারক এবং এলিট শ্রেণী কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহেলার বিষয়ে একমত পোষণ করে অভিযোগ করেন যে দেশের ধনিকরা বিনিয়োগ করেন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে, সশস্ত্র বাহিনী তাদের সন্তান ও সদস্যদের জন্য গড়ে তুলেছেন নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয়। শোনা যাচ্ছে পুলিশ বাহিনীরও আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। তিনি গবেষণায় আর্থিক বরাদ্ধের ক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অবহেলার স্বীকার হচ্ছে দাবী করে বলেন যে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারদের চেয়ে সরকারি আমলারা বেশী পিএইচডি বৃত্তি পান। তিনি মনে করেন ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন নয় বরং শিক্ষার অধোগতির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি নীতি নির্ধারকদের অবহেলা, নেতৃত্বের ব্যর্থতা এবং এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ স্কলারদের নীরবতাই দায়ী। তিনি শুধুমাত্র আর্থিক বরাদ্ধ বাড়লে শিক্ষার মান বাড়বে বলে মনে করেন না, কারন বাড়তি অর্থ কার্যকরভাবে ব্যবহারের সক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনো হয়নি। তিনি প্রবাসী আ্যলুমনাইদের ছাত্র বৃত্তির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকদের বড় গবেষণা প্রকল্পে অর্থায়নের আহবান জানান।
দিনের দ্বিতীয় ওয়েবিনারের মুখ্য আলোচক অধ্যাপক ড: মাহবুবা নাসরীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশে নারী শিক্ষা বিস্তারে গত ১০০ বছরের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ইতিবাচক উদ্যোগ যেমন রোকেয়া চেয়ার প্রতিষ্ঠা, বিবাহিত ও গর্ভবর্তী শিক্ষার্থীদের হলে অবস্থানের সুযোগ প্রভৃতির বর্ণনা দেন। তিনি তাঁর ইউসিএলে ভিজিটিং প্রফেসরশীপ ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে গবেষণা কাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য স্কলারদের আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে উজ্জল ভূমিকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে গবেষণার সংখ্যা ও মান বৃদ্ধির তথ্য উল্লেখ করে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এই শতাব্দীর মধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক র্যাংকিং এ কাংখিত পর্যায়ে উন্নীত হবে।
এই প্রবন্ধের অপর আলোচক অধ্যাপক ড: যোবাইদা নাসরীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরুষতান্ত্রিকতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে বিলম্বের ব্যাপারে হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, মধুর কেন্টিনের সামনে শহীদ মধুসূদন দের ভাস্কর্য শোভা পেলেও তাঁর স্ত্রী ও কেন্টিনের সহ পরিচালক শহীদ যোগমায়া দে’র কোন ভার্স্কয নেই। একাত্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পুরুষ হলে পরিচালিত গণহত্যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা, গবেষণা হলেও রোকেয়া হলে গণহত্যার উপর কোন কাজ হয়নি। আর্টস ফ্যাকাল্টি ভবনের অনেক ফ্লোরে এখনো নারীদের জন্য কোন টয়লেট নেই। একশো বছর পর নারী হলের বাসিন্দাদের জন্য সান্ধ্য আইন এবং শিক্ষকদের উপস্থিতি ছাড়া পুরুষদের সাথে কথা না বলার আইন কিছুটা শিথিল করা হলেও এই নারী অধিকার বিরোধী আইনগুলো বাতিল করা হয়নি।
প্রশ্নোত্তর পর্বে আলোচনায় অংশ নেন সাবেক বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরীসহ কয়েকজন বিশিষ্ট আ্যলামনাই। রাশেদা কে চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী বিপ্লবী লীলা নাগের নামে কোন হলের নামকরণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড: সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, একশত বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের রাজনীতি ও মেধা বিকাশে পালন করেছে নিয়ামক ভূমিকা। তবে তিনি হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রথম ৫০ বছর দুই ক্ষেত্রে সমানতালে ভূমিকা পালন করলেও পরবর্তী ৫০ বছরে মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ে। তিনি এই অধোপতনের জন্য ছাত্র শিক্ষকদের অন্ধ দলীয় আনুগত্যের রাজনীতি প্রধানত দায়ী বলে মনে করেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে সম্ভবত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে একমাত্র উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যার ছাত্র শিক্ষকরা সম্পূর্ণভাবে দলীয় রাজনীতির লাইনে বিভক্ত। তিনি বলেন, ছাত্র শিক্ষকদের অবশ্যই রাজনৈতিক বিশ্বাস থাকবে তবে বিশ্ববিদ্যালয়কে আবারো দেশের মেধা বিকাশের কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে হলে দলীয় রাজনৈতিক বিশ্বাসকে ক্লাসরুম, আবাসিক হল এবং প্রশাসন পরিচালনা বলয়ের বাইরে রেখে জ্ঞানচর্চা এবং দক্ষতা বিকাশকে সকল কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্ধুতে স্থান দিতে হবে।
অধ্যাপক মনজুরুল ইসলাম আরো বলেন, উচ্চ শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যালয় সফল হলেও অন্তভূক্তিমূলক শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক পিছিয়ে আছে। তিনি দেশে গবেষণা অবকাঠামো যেমন সায়েন্স ল্যাবরেটরি ইত্যাদি নির্মাণে বিনিয়োগ করার জন্য প্রবাসী শিক্ষানুরাগী ও আ্যলুমনাইদের প্রতি আহবান জানান।
ওয়েবিনারে স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই ইন দ্য ইউকের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতান। তিনি জানান যে, দ্বৈত শতবার্ষিকীর দ্বিতীয় ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৩ আগষ্ট। ‘বাঙালী জাতি রাষ্ট্র গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান নিয়ে।
খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ড: খলিকুজ্জামান আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করবেন খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি, অধ্যাপক ড: হারুনুর রশীদ।
প্রবন্ধের উপর আলোচনা করবেন ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের বাংলাদেশ মিশন প্রধান রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ।
দ্বৈত শতবার্ষিকীর মহোৎসব অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর গ্রেটার লন্ডনের ব্রেন্টউডের ইডেন গার্ডেনস ভ্যানুতে। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকার ড: শিরিন শারমিন চৌধুরী এমপি। এ ছাড়াও প্রকাশিত হচ্ছে দ্বৈত শতবার্ষিকীর বিশেষ সুভেনিয়র।
জনাব গৌস সুলতান যুক্তরাজ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধুর সকল অনুরাগী, ব্যবসায়ী এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বকে সকল অনুষ্ঠানমালায় অংশগ্রহণ, প্রচার ও স্পন্সরশীপের মাধ্যমে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ জানান।