ঢাবি অ্যালামনাই ইন দ‍্য ইউকের অমর একুশে শহীদ দিবসের আলোচনায় বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার দাবি

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

লন্ডন: বাংলা বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তর ভাষা । এর ইতিহাস, ঐতিহ্য ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রতিষ্ঠায় অবদান বিবেচনায় বাংলাকে অবশ্যই জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকে আয়োজিত মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন অনুষ্ঠানে এসব বক্তব্য দেন আলোচকবৃন্দ।
বিগত ২৭ ফেব্রুয়ারি রোববার পূর্ব লন্ডনের কবি নজরুল সেন্টারে সংগঠনটি এ আয়োজন করে। শহীদ দিবস উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্যায়ের আয়োজিত এই আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতান। সভার শুরুতে ভাষা শহীদ সহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও বঙ্গবন্ধু স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় ‌। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে শহীদ দিবস পালনের প্রথম পর্যায়ে ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ মহান আমার একুশের অপরাহ্নে আলতাব আলী পার্কে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অ্যালামনাই নেতৃবৃন্দ।

আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন। দিবসটির ইতিহাস, গুরুত্ব ও মাতৃভাষা শিক্ষার তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন মারুফ আহমদ চৌধুরী, মোহাম্মদ আবদুর রাকীব এফসিএ, ডঃ আব্দুল হান্নান, প্রশান্ত পুরকায়স্থ, বিইএম, মিসবাহ উদ্দিন ইকো, সৈয়দ ইকবাল, মাহারুন আহম্মেদ মালা, আবুল কালাম, এনামুল হক, সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান, খোরশেদ আলম প্রমুখ ‌। আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন আমন্ত্রিত অতিথি আবু হোসেন এবং মেসবাহ আহমদ। সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন বাঙালিরা বুকের রক্ত ঝরিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আপন মাতৃভাষার প্রতি যত্নবান হতে শিখিয়েছে। বিশ্ববাসীর প্রতি এটা বাংলার এক গর্বিত অবদান। আলোচনায় বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে চালু করার দাবি জানান হয়।কভিড নিয়ন্ত্রণ শিথিলের পর আয়োজিত এ প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে প্রচুর সংখ্যক সদস্য যোগদান করেন। প্রচুর ভাব গম্ভীর পরিবেশে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কিছু কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও সদস্যদের পরিবারের অনেকে।আলোচনার পর অনুষ্ঠিত হয় জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান‌। সাংস্কৃতিক সম্পাদক রীপা রাকীবের পরিচালনায় এবং মোস্তফা কামাল মিলনের সঞ্চালনায় গান পরিবেশন করেন সৈয়দ তারেক, ডঃ শ্যামল কান্তি চৌধুরী ,মোস্তফা কামাল মিলন, কাজী কল্পনা, তামান্না ইকবাল ও রীপা রাকীব। আবৃত্তি পরিবেশন করেন সৈয়দ ইকবাল, মিজানুর রহমান ও মাহারুন আহম্মেদ মালা প্রমুখ।

You might also like