তামিম-রিশাদের ব্যাটে বাংলাদেশের সিরিজ জয়
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
চট্টগ্রাম: লক্ষ্য খুব বড় নয়, ২৩৬ রানের। কনকাশন বদলি হিসেবে নেমে তানজিদ হাসান তামিম খেলে দিলেন ৮১ বলে ৮৪ রানের মারকুটে ইনিংস। তারপরও সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে হারের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল টাইগাররা। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিম আর মেহেদী হাসান মিরাজের জুটি। মিরাজ আউট হওয়ার পর আবারও শঙ্কা। সেই শঙ্কা কেটে গেলো রিশাদ হোসেনের শেষ সময়ের টর্নেডো ইনিংসে।১৮ বলে ৪৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথ গড়ে দিয়েছেন লোয়ার অর্ডারের রিশাদ। শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেট আর ৫৮ বল হাতে রেখে হারিয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।শ্রীলঙ্কার দেওয়া মাঝারি রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন এনামুল হক বিজয় ও তানজিদ হাসান তামিম। লক্ষ্য তাড়ায় বিজয় দেখে শুনে ধীরে খেলতে থাকলেও আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন তামিম। এই দুই জুটিতে ৫০ করেন। তবে পাওয়ার প্লের আগের ওভারে টাইগারদের এই জুটি ভাঙেন লঙ্কান বোলার লাহিরু কুমারা। লঙ্কান পেসারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে ফার্নান্দোর তালুবন্দী হন বিজয়। সাজঘরে যাবার আগে ২২ বলে ১২ রান করেন তিনি।
বিজয়ের বিদায়ে উইকেটে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে নিজের নামের পাশে ১ রান যোগ করেন তিনি। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপর তৃতীয় উইকেটে এসে তামিমের সঙ্গে জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয়। দুই জনের জুটিতে আসে ৪৯ রান। এরপর আবার বাংলাদেশের জুটি ভাঙেন লঙ্কান পেসার কুমার। ইনিংসের ২২তম ওভারে তার শর্ট লেংথের বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে মাদুশানের তালুবন্দী হন হৃদয়। সাজঘরে যাবার আগে ২২ রান করেন তাওহীদ।হৃদয়ের আউটের পর বাইশ গজের উইকেটে আসেন মাহামুদউল্লাহ রিয়াদ। চতুর্থ উইকেটে এসে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি এই অভিঙ ব্যাটার। দলীয় ১১৩ রানে কুমারার চতুর্থ শিকারে পরিনিত হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ১ রান করেন রিয়াদ। একপ্রান্তে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন তামিম।কিন্তু শতকের দাঁড় প্রান্তে ছুটতে থাকা এই বাঁহাতি ব্যাটার দলীয় ১৩০ রানে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ৮১ বলে ৮৪ রান করেন তিনি।শ্রীলঙ্কার ডানহাতি পেসার লাহিরু কুমারা ৪৮ রান খরচায় নেন ৪টি উইকেট। দুটি উইকেট শিকার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার।এর আগে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ২৩৫ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। জেনিথ লিয়ানাগে একাই খেলেন। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন এই মিডল অর্ডার। ১০১ রান করেন তিনি। এছাড়া ৩৭ রান করেন চারিথ আশালঙ্কা, ২৯ রান করেন কুশল মেন্ডিস।