‘তৃতীয় বাংলায় মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক অনুষ্ঠান: মুক্তিযুদ্ধে ব্রিটেন প্রবাসীদের ভূমিকা ইতিহাসের অংশ
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডনঃ বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, যুক্তরাজ্য শাখা আয়োজিত ‘তৃতীয় বাংলায় মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে ব্রিটেন প্রবাসীদের ভূমিকা বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি স্বর্ণোজ্জ্বল অধ্যায়। প্রবাসে জন্ম ও বেড়ে ওঠা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম এই ইতিহাসের পড়ে তাদের পূর্ব প্রজন্মের গৌরবগাঁথায় শিকড়ভূমির পাশে থাকার অনুপ্রেরণা পাবে।
নির্মূল কমিটি যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলামের সভাপতিত্বে ৮ই জানুয়ারী অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ব্রিটেনে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম ও নির্মূল কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহীদজায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে প্রবাসী বাঙালিদের ত্যাগ এবং বাংলাদেশের আন্দোলনের তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি জানান, প্রবাসী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের স্বীকৃতি দেয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যেগ নিচ্ছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর লন্ডনেই প্রথম আসেন। কারণ বাংলাদেশের পর সবচেয়ে বেশি বাঙালির বসবাস তখন ছিলো ব্রিটেনে। ব্রিটেন প্রবাসীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ছিল আত্মিক যোগাযোগ, তাই তিনি বেছে নিয়েছিলেন লন্ডনকে।
বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় নির্মূল কমিটির ভারপাপ্ত সভাপতি শহীদজায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী একটি অসাম্প্রদায়িক সূখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা কামনা করেন।
অনলাইন অনুষ্ঠান চলাকালীন যুক্তরাজ্য নির্মূল কমিটির প্রচার সম্পাদক আসম মাসুম ক্লারিজেস হোটেল থেকে সরাসরি, বঙ্গবন্ধুর লন্ডন আগমন, হোটেলে আসা এবং সেখান থেকেই বিশ্ববাসীর প্রতি তার প্রথম প্রেস কনফারেন্সর তথ্যগুলি তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিলেতে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হাবিব রহমান, যুক্তরাজ্য নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা মাহমুদ এ রউফ, যুক্তরাজ্য নির্মূল কমিটির সহসভাপতি নিলুফা ইয়াসমীন হাসান এবং লেখক গবেষক ফারুক আহমেদ। চলচ্চিত্রকার মকবুল চৌধুরী তার প্রামাণ্য চলচিত্র ‘নট এ পেনি, নট এ গান’ এর পটভূমি ও অংশবিশেষ প্রদর্শন করেন অনুষ্ঠানে।
অনুষ্টানের শুরুতেই আবৃত্তি ও মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্য পাঠ করেন যুক্তরাজ্য নির্মূল কমিটির কার্যকরী সদস্য বাচিক শিল্পী মুনীরা পারভীন ও যুক্তরাজ্য নির্মূল কমিটির সদস্য শাহাব আহমেদ বাচ্চু।
বিলেতে নতুন প্রজন্মের সঙ্গীত শিল্পী নাফিস জয়ের দেশত্ববোধক গানের মাধ্যমে অনুষ্টানের সমাপ্তি হয়।