দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনঃ সুনামগঞ্জ-২-এ বিভক্ত আওয়ামী লীগঃ হার-জিতে ফ্যাক্টর বিএনপি !

সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ সুনামগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে এলাকার ভোটাররা মনে করছেন। প্রতিদ্বন্ধী দুই প্রার্থীর সভা-মিছিলে অসংখ্য মানুষ অংশগ্রহণ করছেন।
এ আসনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সাবেক এমপি নাছির উদ্দিন চৌধুরীর বেশ ভোটার রয়েছেন। বিএনপি সমর্থিত এসব ভোটাররা জয়—পরাজয়ের ফ্যাক্টর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নির্বাচনে সকলের দৃষ্টি আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল আমিন চৌধুরী) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তার (কাঁচি) দিকে। এ আসনে অন্য প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীরা হলেন- ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিব মিজানুর রহমান, কবুতর প্রতীকে রয়েছেন গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী, দিরাই ডিগ্রি কলেজের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিহির রঞ্জন দাস।
দিরাই থেকে সংবাদদাতা জানান, গত দু’টি সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন ড. জয়া সেনগুপ্তা। এবার তিনি নৌকা প্রতীক পাননি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তিনি প্রার্থী হওয়ায় শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন নৌকা প্রতীকের আল—আমিন চৌধুরী।
আ’লীগের নেতা কর্মীরাও দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রচারণায় আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়া সেনগুপ্তার পক্ষে মাঠে রয়েছেন উপজেলা আ’লীগ সভাপতি কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, যুবলীগ নেতা মেয়র বিশ্বজিৎ রায়, সাবেক সহ-সভাপতি সিরাজ-উদ-দৌলা তালুকদারসহ একাধিক নেতাকর্মী।
অন্যদিকে নৌকার প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আল আমিন চৌধুরীর পক্ষে উপজেলা আ’লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল আহমদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র মোশাররফ মিয়া, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রঞ্জন কুমার রায়সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এদিকে, দু’পক্ষের নির্বাচনী বিভিন্ন সভায় চলছে কথার লড়াইও। নৌকার পক্ষে থাকা নেতা—কর্মীরা বলছেন, গত ৭ বছরে তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। জয়া সেনগুপ্ত নেতাকর্মীদের ধরে রাখতে পারেন নি। তার হয়ে একজন নেতা সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন। এখন এক পরিবারের আধিপত্য থেকে বের হতে হবে।
জয়ার সমর্থকরা বলছেন, আমাদের নেত্রী সবসময় ছিলেন সাধারণ মানুষের পাশে। কখন কারো সাথে অন্যায়-জুলুম করেন নি। ঘুষ-দুর্নীতির সঙ্গে আপোষহীন। অসাম্প্রদায়িক দিরাই-শাল্লা গড়তে নেত্রীর সাথে থাকুন।
স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মীরা বলছেন, বিএনপি’র সমর্থকরা যার সঙ্গে থাকবেন, জয়ের পাল্লা তার দিকেই যাবে।
উপজেলা বিএনপি’র দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য না মিললেও  বিএনপির পদধারী একজন নেতা জানান, তারা ভোটকেন্দ্রে না গেলেও সমর্থকদের অনেকেই হয়তো যাবেন। সে আভাস মিলেছে দলটির তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেও।
বিএনপি’র একজন দায়িত্বশীল নেতা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নেতাকর্মীরা না গেলেও দিরাইয়ে বিএনপি সমর্থিত অনেক ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে যেতে পারেন। এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায়না।’