দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ নিরবে কাঁদছে:কাইয়ুম চৌধুরী

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ বিএনপি সিলেট জেলা সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, ’৭১ সালে তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটি সুখী, সমৃদ্ধ, দূর্ণীতি ও শোষণমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলা মায়ের সোনার ছেলেরা বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়ে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিছেন। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয়, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও আমরা দূর্ণীতি ও শোষণমুক্ত হতে পারিনি। দেশে আজ মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতা, ভোটাধিকারসহ বেঁচে থাকার অধিকার নেই। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ নিরবে কাঁদছে। মধ্যবিত্ত এখন নিম্নবিত্ত হয়ে যাচ্ছে আর নিম্নবিত্তরা দারিদ্রসীমার নিচে চলে যাচ্ছে। রমজান মাসে ব্রয়লার মুরগী ২৫০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে। সর্বোপরি আ’লীগ আরো কিছুদিন ক্ষমতায় থাকলে মানুষ আর বাঁচতে পারবে না। বেঁচে থাকার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকার পতনের আন্দোলনে রাজপথে নামতে হবে।জকিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, ২৬ মার্চ রোববার বিকেলে জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরো বলেন, সাবেক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে এই জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রাম থেকে সম্মূখ যুদ্ধ করে কানাইঘাট হয়ে সিলেট শহরে প্রবেশ করেন। সিলেট শহরে এমসি কলেজ এলাকায় সেই ভয়াবহ যুদ্ধ শেষে তার নেতৃত্বেই সিলেট শত্রুমুক্ত হয়েছিল। তাই সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে রেখে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অপরিপূর্ণ।

উপজেলা বিএনপি সভাপতি শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন সেলিমের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, নজরুল হোসেন পুতুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, মামুনুর রশিদ, আনোয়ার হোসেন মানিক, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, জেলা বিএনপি নেতা শরিফুল হক, এডভোকেট মোস্তাক আহমদ, জয়নাল আহমদ রানু, জালাল খান, মাহবুব আলম, শাহিন আলম জয়, আহমদ সোলাইমান।আলোচনা সভা শেষে মহান স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের আতœার মাগফেরাত কামনা, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এরপর ইফতার মাহফিলে অংশ নেন নেতৃবৃন্দ।