নগরীর ৩টি ওয়ার্ড পানিবন্দি পরিবারের মধ্যে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ শতাধিক বছরের পর প্রাকৃতিক দুর্যোগে সৃষ্ট এবারের ভয়াবহ বন্যায় মারাত্মক দূর্ভোগকবলিত সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকার পানিবন্দী জনগণের পাশে অতন্দ্র প্রহরীর মতো রয়েছে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাব, সিলেট’র সদস্যবৃন্দ। চিত্তের অধিকারী বিত্তবান পরিচিতজন, বন্ধু-বান্ধব এবং শুভাকাঙ্খীদের নিকট থেকে প্রাপ্ত অর্থ সহায়তার পাশাপাশি নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী যা আছে, তাই নিয়ে বানভাসি মানুষের দরোজায় দরোজায় রান্না করা অথবা শুকনো খাবার আর বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দিচ্ছেন ক্লাবের সাংবাদিক সদস্যরা। উপজেলার যে সমস্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনও কেউ ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যায়নি, সেসব এলাকা খোঁজে খোঁজে খাবার পৌঁছে দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তাঁরা।

শুধু গ্রাম নয়, শহর এলাকাকেও প্রেসক্লাব সদস্যরা ভুলে যায়নি। গত সোমবার সন্ধ্যায় নগরির ২৫, ২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ডের পূর্বতালিকাভূক্ত পানিবন্দী ২৮টি পরিবারকে ৩ দিনের খাদ্যসামগ্রী দিয়েছে উপজেলা প্রেসক্লাব’র সদস্যবৃন্দ। তরুণ ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট সমাজসেবী মিনহাজুল ইসলামের মাধ্যমে ভারতের মহারাষ্ট্রের বোম্বে মহানগরির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিদ্ধেশ বাবু এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম মহানগরির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সেলিম আহমদের অর্থ সহায়তায় এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। বিতরণ কার্যক্রমে সহযোগিতা করে বন্ধন সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, সিলেট। স্টেশন রোডের লেইছ সুপার মার্কেটস্থ প্রেসক্লাব সভাপতি’র ব্যক্তিগত কার্যালয়ে বিতরণকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মূল উদ্যোক্তা তরুণ ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী মিনহাজুল ইসলাম, বন্ধন সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, সিলেট’র সভাপতি আব্দুল মালেক তালুকদার, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাব, সিলেট’র সভাপতি চঞ্চল মাহমুদ ফুলর, প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ও বর্তমান নির্বাহী সদস্য এবং সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইমাদ উদ্দিন নাসিরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জুমান আহমদ, অর্থ সম্পাদক মোঃ সানোয়ার আলী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এমরান ফয়সাল প্রমুখ।বিতরণকৃত খাদ্যসামগ্রীর প্রতিটি প্যাকেটে ছিল ৬ কেজি বাঁশমতি চাল, ১ কেজি মশুর ডাল, ২ কেজি পেঁয়াজ, ২ কেজি আলু, ১ লিঃ সোয়াবিনসহ আরো কিছু দ্রব্যাদি।দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাব, সিলেট’র এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি বন্যার পানি না নামা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

You might also like