নেট জিরো কার্বনের লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে মরপেথ স্কুলে লাগানো হয়েছে সোলার প্যানেল
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
টাওয়ার হ্যামলেটসঃ টাওয়ার হ্যামলেটস বারার স্কুলগুলোকে অধিকতর জ্বালানী সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে কাউন্সিলের ৬৭৩ হাজার পাউন্ডের গ্র্যান্ট-ফান্ডিং প্রোগ্রামের আওতায় বেথনাল গ্রীনের একটি স্কুলে সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে।মরপেথ স্কুলে লাগানো এই সোলার প্যানেলগুলো স্কুলের মোট বিদ্যুতের চাহিদার ২০ শতাংশ সরবরাহ করবে, যার ফলে স্কুলটির কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমবে ১৯ শতাংশ এবং প্রতি বছর স্কুল বিদ্যুৎ বিল বাবদ প্রায় ২০ হাজার পাউন্ড সাশ্রয় করতে সক্ষম হবে।কাউন্সিলের স্কুল এনার্জী রেট্রোফিট প্রোগ্রামের আওতায় এই অনুদান গুলো দেয়া হচ্ছে এবং কার্বন অফসেট ফান্ড থেকে অর্থায়ন করা হচ্ছে। বারার ১৯টি স্কুলকে তাদের কার্বন নিঃসরণ কমাতে স্বউদ্যোগে জ্বালানীর ব্যবহার হ্রাস ও কার্যকর জ্বালানি দক্ষতা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সহায়তা করতেই গঠন করা হয়েছে এই কার্বন অফসেট ফান্ড।
এই সোলার প্যানেল স্থাপন করা ছাড়াও বিদ্যুতের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনতে এলইডি লাইটিং লাগানো হয়েছে। এর ফলে বিদ্যুৎ বিল খাতে বছরে হাজার হাজার পাউন্ড সাশ্রয় হবে।বারার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোর এনার্জি এফিসিয়েন্সি, যেমন পুরনো গ্যাস বয়লার বদলে ইলেক্ট্রিক বয়লার স্থাপন এবং এলইডি লাইট লাগানোর জন্য আর্থিক সহযোগিতারও প্রকল্প রয়েছে।এ প্রসঙ্গে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র জন বিগস বলেন, ২০১৯ সালে জলবায়ু জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পর থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে একটি নেট জিরো কাউন্সিল এবং ২০৪৫ সালের মধ্যে একটি নেট জিরো বারা হওয়ার ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিল্ডিংগুলো রেট্রোফিটিং করার পাশাপাশি আমরা আমাদের রাস্তা গুলোর পাশে ও পার্কগুলোতে হাজার হাজার বৃক্ষ রোপন করেছি। নতুন সাইকেল হ্যাঙ্গার বসিয়েছি এবং স্ট্রিট লাইটিংকে এলইডি লাইটিংয়ে রূপান্তরের কাজ করে যাচ্ছি।
মেয়র বলেন, স্কুলস্ এনার্জি রেট্রোফিট প্রোগ্রামগুলোর লক্ষ্য হচ্ছে স্কুলগুলোকে তাদের কার্বন নিঃসরণ আউটপুট হ্রাস, বিদ্যুতের খরচ কমিয়ে আনা এবং তাদের এনার্জি দক্ষতা উন্নতিতে তাদের প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আর্থিক অনুদান প্রদান করা।কেবিনেট মেম্বার ফর এনভায়রনমেন্ট এন্ড প্ল্যানিং, কাউন্সিলর আসমা ইসলাম বলেন, টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করার কাজে আত্মনিবেদিত তরুণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ইকো কাউন্সিলের সাথে দেখা করে আমি অভিভূত। জলবায়ু সংক্রান্ত জরুরি পরিস্থিতিতে সাড়া দেওয়ার অর্থ হলো কার্বন আউটপুট যতটা সম্ভব কমানোর লক্ষ্যে আমাদের বিল্ডিংগুলো আধুনিকীকরণ করা দরকার।এনার্জি এফিসিয়েন্সি প্রজেক্টগুলোর জন্য আরো তহবিল নিশ্চিত করতে কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে।