পাঁচ দেশে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট কাল থেকে
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের দেয়া কঠোর লকডাউনের মধ্যে প্রবাসী কর্মীদের কাজে ফেরত যেতে শনিবার (১৭ এপ্রিল) পাঁচটি দেশের ৮টি শহরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিশেষ ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে।বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০ এপ্রিল অর্থাৎ লকডাউনের শেষ দিন পর্যন্ত বিশেষ ফ্লাইটগুলো চলবে। বিমানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।সকাল ছয়টা থেকে চালু হওয়া বিশেষ ফ্লাইটগুলো চলবে সৌদি আরবের শহর রিয়াদ, দাম্মাম ও জেদ্দা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর দুবাই ও আবুধাবি, ওমানের মাসকাট, কাতারের দোহা ও সিঙ্গাপুর।বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা গণমাধ্যমকে বলেন, ১৭ তারিখ (শনিবার) যাঁদের যাওয়ার জন্য টিকিট বুকিং ছিল, সেদিন শুধু তাঁরাই যেতে পারবেন। রুটগুলোতে তাঁদের জন্য আসন সংরক্ষিত।
এ ক্ষেত্রে যাত্রীদের করোনাভাইরাসের নেগেটিভ সনদসহ যাত্রার ছয় ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।এ ছাড়া রিয়াদগামী শনিবারের স্পেশাল ফ্লাইট বিজি৫০৩৯ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোর ৪ ঘটিকার পরিবর্তে সকাল ৬ টা ১৫ মিনিটে ছাড়বে ফ্লাইটটি।তবে লকডাউনের পর প্রথম তিন দিন যাঁদের ফ্লাইট বাতিল হয়েছে তাঁদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত? এ প্রশ্নে তাহেরা খন্দকার বলেন, তাঁদের পরে বিশেষ ব্যবস্থায় অবশ্যই পাঠানো হবে। রিশিডিউল করে বা অতিরিক্ত ফ্লাইটে করে তাঁদের পাঠানো হবে।বিস্তারিত তথ্যের জন্য যেকোনো বিমান সেলস অফিস অথবা বিমানের কল সেন্টারের ০১৯৯০৯৯৭৯৯৭ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।প্রবাসী কর্মীদের ফেরত যাওয়ার বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মন্ত্রী পর্যায়ের এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে বিমানে যাত্রী পরিবহনের এ সিদ্ধান্ত আসে।
বৈঠকে অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেবিচকের চেয়ারম্যান, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।এর আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় ১৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে অন্তত ৩০ হাজার পুরোনো ও নতুন কর্মীর বিদেশে গিয়ে কাজে যোগদান অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। জনশক্তি খাতের ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা বিদেশে যাওয়ার ফ্লাইট খুলে দেওয়ার দাবি জানান।