ফিলিস্তিনের প্রতি অটোরিকশা শ্রমিকদের সংহতি

সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ প্রায় ৫শ’ সিএনজিচালিত অটোরিকশা। চলছে সারি বেঁধে। প্রতি অটোরিকশায় পত পত করে উড়ছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা। বহরের ৫টি গাড়িতে বাজছে মাইক-ফিলিস্তিনিদের পক্ষে, ইসরাইলের বিপক্ষে স্লোগান- বিদ্রোহী সংগীত। যাত্রা শুরু হয়েছিলো নগরির চন্ডিপুল থেকে। নগরির বন্দরবাজার-সোবহানীঘাট-উপশহর ঘুরে পুনরায় চন্ডিপুলে গিয়ে শেষ হয় ‘চলন্ত প্রতিবাদ’।
২৫ অক্টোবর বুধবার জায়নাবাদী সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইল কর্তৃক নির্বিচারে গণহত্যার শিকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি ব্যতিক্রমী ভালোবাসা দেখান অটোরিকশা শ্রমিকরা। সংগঠনের চন্ডিপুল শাখার উদ্যোগে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ২টায় নগরির চন্ডিপুল থেকে প্রায় ৫শ’ অটোরিকশা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু নিয়ে করেন শ্রমিকরা। ‘অটোরিকশা মিছিলটি’ কাজিরবাজার ব্রিজ-জিতু মিয়ার পয়েন্ট হয়ে বন্দরবাজার-সোবহানীঘাট-উপশহর ঘুরে চন্ডিপুলে গিয়ে শেষ হয়।
প্রতিবাদ কর্মসুচিতে অংশ নেয়া এক অটোরিকশা চালক গণমাধ্যমকে বলেন-‘ফেসবুকে যখন গুলিবিদ্ধ নিহত ফিলিস্তিনি শিশুদের ছবি দেখি-তখন চোখের পানি ধরে রাখা যায় না। শরীরের সব রক্ত ছলকে উঠে। ইচ্ছে করে ইসরাইলি হায়েনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি। কিন্তু সে সুযোগ তো নেই, তাই অন্ততঃ বিক্ষোভ করে ঈমানি দায়িত্ব পালন করছি।’
আরেক অটোরিকশা চালক বলেন, ‘আমরা হয়তো পেশায় শ্রমিক, ধর্ম-কর্ম তেমন একটা করি না। কিন্তু আমার এক মুসলমান ভাইয়ের রক্ত ঝরবে, তা তো সইতে পারি না। আজ বিশ্ব-সন্ত্রাসীরা আমার হাজার হাজার মুসলমান ভাই-বোন-শিশুদের মারছে। বর্বরোচিত পৈচাশিক দৃশ্য সহ্য করতে পারছি না। তাই আজ আমাদের চন্ডিপুল শাখার উদ্যোগে এমন বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছি। আমাদের এ ঘৃণা অব্যাহত থাকবে জঘন্য সন্ত্রাসী  ইহুদীবাদী ও তাদের দোসরদের প্রতি।’

You might also like