‘বঙ্গবন্ধুর রক্তঋণ শোধ করতে হলে সর্বক্ষেত্রে তাঁর দর্শন বাস্তবায়ন করতে হবে’

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ আজ (৩১ জুলাই ২০২২) বিকেল সাড়ে ৩টায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি দারুস সালাম থানার সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে আরসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । নির্মূল কমিটি দারুস সালাম থানা শাখার আহ্বায়ক জহিরুল হকের সভাপতিত্বে এ সভার সঞ্চালনা করেন নির্মূল কমিটি ১০ নং ওয়ার্ড শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মো: শাহ্ বারী। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল।উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মাজহারুল আনাম এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় আইটি সেলের সভাপতি শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য প্রদান করেন নির্মূল কমিটি মিরপুর ১০নং ওয়ার্ড শাখার সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা মজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি পাঠাগার মিরপুর শাখার সভাপতি শেখ মো: সেলিম রেজা, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি পাঠাগার মিরপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক এবিএম মাকসুদুল আনাম, নির্মূল কমিটি ১০ নং ওয়ার্ড শাখার সাবেক সহসভাপতি আবুল ফাত্তাহ এবং নির্মূল কমিটি দারুস সালাম থানা শাখার সদস্য সচিব মাসুম পারভেজ।প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল বলেন, ‘’৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে ধর্মের নামে যেভাবে ভিন্নমত, ভিন্নধর্ম, ভিন্নদেশী এবং ভিন্ন জীবনধারায় বিশ্বাসীদের হত্যা করা হচ্ছে, যা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও উদ্বিগ্ন- এর মূল নিহিত রয়েছে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডে। ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের পুনরুত্থান ঘটানো সম্ভব ছিল না। ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ও তাদের এদেশীয় সহযোগীদের শোচনীয় পরাজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের মাটিতে ধর্মীয় দ্বিজাতিতত্তে¡র কবর হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের প্রেতাত্মাদের বাংলাদেশে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে যেভাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার মাশুল এখনও গোটা জাতিকে দিতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে জঙ্গি মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস প্রতিহতকরণ ও নির্মূল সম্পর্কে সরকার এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন ফোরামে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য উপস্থাপন করছেন। অথচ এই সন্ত্রাসের যে নির্দিষ্ট দর্শন ও রাজনীতি রয়েছে এ বিষয়ে নাগরিক সমাজের অনেকের এমন কি সরকারের নীতিনির্ধারকদেরও ধারণা স্বচ্ছ নয়। ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রের যে মৌলবাদীকরণ ও সাম্প্রদায়িকীকরণ ঘটেছে- পরিত্রাণের পথ হচ্ছে ১৯৭২-এর মূল সংবিধানের পুনঃপ্রবর্তন, যেখানে জেনারেল জিয়া বা তার উত্তরসূরীদের কোনো কলঙ্কচিহ্ন থাকবে না। আরও নির্দিষ্টভাবে যদি বলি, ‘সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ রেখে জামায়াতে ইসলামীর মতো ধর্মভিত্তিক মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক সংগঠন নিষিদ্ধ না করে ধর্মের নামে চলমান জঙ্গি সন্ত্রাস সাময়িকভাবে দমন করা গেলেও কখনও তা নির্মূল করা যাবে না এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে যাবে না। বঙ্গবন্ধুর প্রতি জাতির রক্তঋণ শোধ করতে হলে রাজনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি, শিক্ষা- সর্বক্ষেত্রে তাঁর দর্শন বাস্তবায়ন করতে হবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দারুস সালাম থানার সভাপতি এবিএম মাজহারুল আনাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস ও অর্জনগুলো নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আবার এই অর্জনগুলো ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করতে সক্ষম হয়েছি, সংবিধানের মূল চার নীতিতে ফিয়ে যাওয়া এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব হয়েছে। পাকিস্তানি প্রেতাত্মা ও দালালেরা নব্য পাকিস্তান সৃষ্টির যে পাঁয়তারা নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল, সেই জায়গা থেকে জাতিকে তার আসল জায়গায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় আইটি সেলের সভাপতি শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময় বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তির আনন্দ উৎসবের পর সময় এসেছে পূর্ণ উদ্যমে নতুন প্রজম্মের বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ প্রতিষ্ঠার মুল্যায়ন ও সুদৃঢ় করার কাজ। বিগত ৫১ বছরে আমাদের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি দুটোই আছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় হয়েছে, কিন্তু সকল রায়

You might also like