বর্ণিল সাজে সেজেছে পর্তুগাল

শাহ মোহাম্মদ তানভীর
সত্যবাণী

পর্তুগাল : বড়দিন এবং নতুন বছরকে সামনে রেখে সাগরকন্যার দেশ পর্তুগালে চলছে উৎসবের মৌসুম। ক্রিসমাসের আগমনী বার্তা নিয়ে রঙিন সাজে সেজেছে নগর-জনপদ। পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে শুরু করে দেশটির সবখানেই চোখে পড়ছে বাহারি আলোর ছটা। বিশেষ করে দেশটির রাজধানী কে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে ।যদি ও ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো করোনাভাইরাস মহামারি এবং নতুন আতঙ্ক ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর বড়দিনকে ঘীরে এ বছর তাই বেশিরভাগ শহরেই ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন আয়োজন বাতিল করা হয়েছে। শুধু তাই নয় করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে পর্তুগালে বিমানে আগত সব যাত্রীর জন্য করোনা নেগেটিভ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বড়দিন এবং নতুন বছরের ছুটি পরবর্তী ঊর্ধ্ব সংক্রমণ পরিস্থিতি ঠেকাতে আগামী ২০২২ সালের জানুয়াারির ২ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত টেলিওর্য়াক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং একই সময় সব ডিস্কো বন্ধ থাকবে। স্কুলসহ সকল স্কুল-কলেজের বড়দিনের ছুটি ১০ জনুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।

এ দিকে বড়দিনকে ঘীরে দেশটির বিপণিকেন্দ্রগুলোতে এখন কেনাকাটার ধুম। পাশাপাশি ক্রেতা আকর্ষণের জন্য চলছে মূল্য ছাড়ের প্রতিযোগিতা। পোশাক থেকে শুরু করে আসবাবপত্র সবই আছে কেনাকাটার তালিকায়। ল্যাপটপ, ট্যাবলেট পিসি আর এক্সবক্স ওয়ানের মতো গ্যাজেটের খোঁজে দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়।পাশাপাশি বড়দিন উপলক্ষে হোটেল রেস্তোরায় কাষ্টমারদের আগমন চোখে পড়ার মতো । তবে পর্তুগীজদের পাশাপাশি পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশীরা সবচেয়ে বেশী উপভোগ করছেন ক্রিসমাস ট্রি আর ঝলমলে আলোকসজ্জায় সেজে ওঠা রাজধানী লিসবন শহর।পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী সাংবাদিক মনির হোসেনের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান বিড়দিন ও নতুনবছরকে ঘীরে পর্তুগালের বর্ণিল সাজের চিত্র একেবারেই আলাদা। তবে গত বছরের মতো এবারো ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন আয়োজন বাতিল করার ফলে অনেকটাই ফিকে বড়দিনের আনন্দ।

You might also like