বাংলাদেশের ৫০তম বাজেটে যা থাকছে
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’ শিরোনামে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের তৃতীয় বাজেট এটি। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি তৃতীয় বাজেট। বিকেল ৩টায় বাজেট বক্তৃতা শুরু করবেন তিনি। এবারের বাজেটে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার পাবে এমনটি উল্লেখ করেছে অর্থমন্ত্রণালয়।বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম বাজেট ঘোষণা করেন তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৭২ সালের ৩০ জুন ঘোষণা করা সেই বাজেটের আকার ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকা। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বাংলাদেশের ৫০তম বাজেট নিয়ে আসছেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। যার আকার দাঁড়াচ্ছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। অর্থাৎ স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশের বাজেটের আকার বেড়েছে ৭৬৭ গুণ।
এ পর্যন্ত সর্বমোট ৪৯টি বাজেট উত্থাপন করেছেন ১২ জন ব্যক্তি। তাদের মধ্যে একজন রাষ্ট্রপতি, ৯ জন অর্থমন্ত্রী ও দুজন অর্থ উপদেষ্টা। ব্যক্তি হিসেবে সবচেয়ে বেশি ১২টি করে বাজেট উত্থাপন করেছেন প্রয়াত এম সাইফুর রহমান এবং আবুল মাল আবদুল মুহিত। এর মধ্যে আবুল মাল আবদুল মুহিত আওয়ামী লীগের হয়ে রেকর্ড টানা ১০টি বাজেট উপস্থাপন করেন।প্রতিবছর বাজেটের আকার বাড়লেও এতে উন্নয়ন বরাদ্দের অংশ কমে যাচ্ছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মোট বাজেটের ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ থাকতো। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যে বাজেট উপস্থাপন হয়েছে তাতে উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট ব্যয়ের এক-তৃতীয়াংশেরও কম বরাদ্দ থাকছে। অর্থাৎ সরকারি বেতন-ভাতা, সুদ পরিশোধ, ভর্তুকির মতো খাতগুলোতে ব্যয়ের বড় অংশ চলে যাচ্ছে।
বাজেট ঘাটতির যে আকার নির্ধারণ করা হয় সেটি বিগত বছরগুলোতে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) হিসাবে ৫ শতাংশের মধ্যেই বেধে রাখা সম্ভব হতো। কিন্তু করোনার প্রকোপ শুরু হবার পর বাজেট ঘাটতি এখন ৬ শতাংশের উপরে রেখেই হিসাব কষতে হচ্ছে। গতবছর করোনার প্রকোপ শুরুর পর থেকেই ঘাটতি বড় হবে এমনটি ধরেই বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল।প্রতিবারের মতো বাজেট উপস্থাপনের পরদিন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। করোনার এই সময়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ৪ জুন শুক্রবার বিকেল ৩টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।