বাংলাদেশে সাংবাদিক মানবাধিকার কর্মি শাহরিয়ার কবিরকে গ্রেফতারে বিশ্ব মানববাধিকার নেতৃবৃন্দের উদ্বেগ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডন: ইউরোপ আমেরিকা সহ বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার কর্মিদের জোট বাংলাদেশের বিখ্যাত সাংবাদিক, মানবতাবাদী নেতা, তথ্যচিত্র নির্মাতা লেখক শাহরিয়ার কবিরের সাম্প্রতিক গ্রেফতারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয় ৭৩ বছর বয়সী জনাব শাহরিয়ার কবির, যিনি বাংলাদেশে একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, বর্তমানে তিনি ওই সংগঠনের উপদেষ্টা, ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পট পরিবর্তনের মাত্র এক সপ্তাহের ভেতর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তেজনার ফলশ্রুতিতে দেশটির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শান্তিতে নবেল বিজয়ী ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুছের নেতৃত্বে একটি অন্তবর্তি কালীণ সরকার গঠন করা হয়।
বিশ্ব মানবাধিকার জোটের দ্বারা উত্থাপিত উদ্বেগের মূল বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে এই গ্রেফতার একটি কাল্পনিক রাজনৈতিক মামলার উপর ভিত্তি করে। যথাযথ আইনী তদন্ত ছাড়া হয়রানি এবং গ্রেফতার এড়াতে অন্তবর্তি কালীন সরকারের প্রতিশ্রুতির বিপরিত।
নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে জনাব শাহরিয়ার কবিরের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে মানবতা বিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে। বিশ্বব্যাপী এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে জনাব কবিরের আজীবন সমর্থনের কারনে তাঁকে এই সব মামলায় উদ্দেশ্য মূলক ভাবে জড়ানো হয়েছে এইসব অভিযোগ সত্যিই উদ্বেগ জনক। জনাব কবিরকে আদালতের উপস্থিতিতে শারিরিক ভাবে আক্রমন করা হয়েছে। এতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা হস্তক্ষেপ করেনি বরং নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করেছে। তার বয়স এবং শারিরিক অবস্থা সত্বেও জনাব কবিরকে হুইল চেয়ার সরবরাহের অনুরোধ পুলিশ এবং আদালত উভয়েই উপেক্ষা করেছে।
বিশ্ব মানবাধিকার কর্মিদের জোট বাংলাদেশের অন্তবর্তি সরকারকে দৃঢ়ভাবে অনুরোধ করছে যে জনাব কবিরের সাথে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের মান অনুযায়ী আচরন করা হউক। যারা আদালত চত্তরে জনাব কবিরের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার অঙিকার রক্ষা করা হোক। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার জোট পরিস্তিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এইসব বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
বিবৃতিতে সাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন: পাওলো কাসাকা– নির্বাহী পরিচালক দক্ষিণ এশিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোরাম পর্তুগাল, তারিক গুনারসেল–পেনের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য, আন্তর্জাতিক লেখক তুরস্ক, ডঃ হেলেন জার্ভিস– ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য, জেনোসাইড স্কলারস কম্বোডিয়া, মোনাহাগগু– স্ট্রিন্ডবার্গ, অ্যাটর্নি অ্যাট ল সুইডেন, অধ্যাপক রাফাল পাঙ্কোস্কি সমাজবিজ্ঞানী ‘কখনই নয়‘-এর সহ–প্রতিষ্ঠাতা আবার অ্যাসোসিয়েশন ওয়ারশ–পোল্যান্ড, Natalia Sineaeva গণহত্যা পণ্ডিত এবং সংখ্যালঘু অধিকার ডিফেন্ডার ওয়ারশ পোল্যান্ড, ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন অ্যাক্টিভিস্ট যুক্তরাজ্য, রেনে লিবেন্থাল, অর্থনীতিবিদ আর্জেন্টিনা, জামি আসলাম আইনজীবী সুইজারল্যান্ড, গোজকভ বলকান, সাহিত্যিক হেরাল্ড পেন আরমান, সার্বিয়া –গ্রীস, তাপস দাস সহকারী অধ্যাপক– ভারত, ডঃ রায়হান রশিদ, ট্রাস্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (ICSF) যুক্তরাজ্য, বনফশেহ জান্দ, সাংবাদিক ইরান, নিকোলাস কাউইঙ্গা লুসাকা জাম্বিয়ার একজন কবি, ম্যাথিউ জনসেন মানবাধিকার কর্মী–মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভ্লাদিমির বোগদানি “নিকোলা টেসলা অ্যাস্ট্রাল জিনিয়াস“ সেক্রেটারি জেনারেল, জাগরেব ক্রোয়েশিয়া প্রজাতন্ত্র, সঞ্জীব ভারতিয়া মানবাধিকার রক্ষাকারী, ভারত, জেইনেপওরাল, প্রেসিডেন্ট পেন তুর্কিয়ে, ডঃ গ্রেগরি এইচ স্ট্যান্টন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি– জেনোসাইড ওয়াচ চেয়ার, দ্য অ্যালায়েন্স অ্যাগেইনস্ট জেনোসাইড, সিরাজুম মুনিরা পিএইচ.ডি.ফেলো, ওয়ারশ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দীপক চক্রবর্তী–মানবতাবাদী মানবাধিকার কর্মী ভারত, জামিল মাকসুদ–সভাপতি, পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটি–ইউকে পিএনপি, প্রফেসর গিল এইচ– বোহরিঙ্গার অস্ট্রেলিয়া, বিদিত দে সহযোগী অধ্যাপক, দ্য ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ড যুক্তরাজ্য, সাব্বির খান –কম্পিউটার প্রকৌশলী সুইডেন, ডাঃ টমাসো ভার্জিলি, পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চ ফেলো বার্লিন সামাজিক বিজ্ঞান কেন্দ্র জার্মানি, আফসানা কিশওয়ার লেখক ও কর্মী, কানাডা, তসলিমা নাসরিন, বাংলাদেশী ধর্মনিরপেক্ষ নারীবাদী, কর্মী, এবং প্রবাসে লেখক ভারত, আহমেদ জিয়াউদ্দিন আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ বেলজিয়াম, ডঃ নওরিন তামান্না ইউনিভার্সিটি অফ রিডিং, যুক্তরাজ্য।