বিচারের মুখে কিশোর-মুশতাক-দিদার, মিনহাজ-তাসনিম খলিলরা অভিযোগপত্রে বাদ

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, লেখক মুশতাক আহমেদ ও ‘রাষ্ট্রচিন্তা’র সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।এছাড়া এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে চার মাস কারাগারে থাকা মিনহাজ মান্নান ইমন, বিদেশে থাকা নেত্র নিউজের সম্পাদক সুইডেন প্রবাসী তাসনিম খলিলসহ অন্য আট আসামিকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন দিয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।গত বৃহস্পতিবার পুলিশ আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহসীন সর্দার গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।গত বছর ৬ মে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর এবং ব্যবসায়ী-লেখক মুশতাক আহমেদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে ওই দুজনসহ ১১ জনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ওই মামলা দায়ের করেন র‌্যাব-৩ এর ডিএডি আবু বকর সিদ্দিক। পরদিন মিনহাজ মান্নান ও দিদারুলকেও এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ফেসবুক ব্যবহার করে জাতির জনক, মুক্তিযুদ্ধ, করোনাভাইরাস মহামারী সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র/সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিপ্রায়ে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়ানো, অস্থিরতা-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারার অভিযোগ আনা হয়।ফেইসবুকে ‘I am Bangladeshi’ পেইজে সম্পৃক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয় কিশোর, মুশতাক, দিদারুলকে, যে পেইজ থেকে রাষ্ট্রের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে বিভিন্ন পোস্ট দেয়া হচ্ছিল বলে তখন দাবি করে র‌্যাব।হোয়াটস অ্যাপ ও ফেইসবুক মেসেঞ্জারে কিশোর ও মুশতাকের সঙ্গে তাসনিম খলিল, জুলকারনাইন সায়ের খান, শাহেদ আলম, আসিফ মহিউদ্দিনের ‘ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ’ পাওয়ার দাবিও করে র‌্যাব।সে সময় গ্রেপ্তার হয়ে এখনও কারাগারে বন্দি আছেন কার্টুনিস্ট কিশোর ও লেখক মুশতাক। আর মিনহাজ মান্নান ও দিদার সেপ্টেম্বরে জামিনে ছাড়া পান।

You might also like