বিলাসবহুল প্রমোদতরী ডিক্সি কুইন-এ আরতা’র ব্যতিক্রমী মিডিয়া লঞ্চ : ২ অক্টোবর ও-টু’র ইন্টারকন্টিনেন্টালে এওয়ার্ড অনুষ্ঠান

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

লন্ডনঃ আবারো ফিরে এসেছে এশিয়ান রেস্টুরেন্ট এন্ড ট্যাকওয়ে এওয়ার্ডস আরতা।কভিড নাইনটিনের পর বড়সর আয়োজন আবারো। ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় থেমস নদীতে এক লাক্সারি ক্রুজ অভিযাত্রার মাধ্যেমে এবছরের এওয়ার্ডস সিরিমনির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়। ২ অক্টোবর লন্ডন ওটু ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে এই কারী ইন্ড্রাস্ট্রির এই বিশেষ অনুষ্ঠান। প্রায় সাড়ে ৩শ অতিথি আর মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে নদীপথে চার ঘন্টা ছিলো মিডিয়া লঞ্চিং-এর আয়োজন। বিলাসবহুল প্রমোদতরী ডিক্সি কুইন-এ চড়ে থেমসে ভেসে ভেসে ব্যতিক্রমী এ অনুষ্ঠান ছিলো সবার জন্য উপভোগ্য। অনুষ্ঠানে ঢাকার ডেফোডিল অক্সফোর্ড সেন্টার অব এক্সেলেন্স ইন হসপিটালিটির সাথে আরতার স্ট্রাটিজিক পার্টনার শেফ অন লাইনের পার্টনারশীপ ঘোষনা করা হয়। জানানো হয়, এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শেফ ও যোগ্য ও শিক্ষিত রেস্টুরেন্ট স্টাফ তৈরীতে কার্যকর ভূমিকা রাখা যাবে।মিডিয়া পার্সনালিটি রাজন সিং এর উপস্থাপনায় এতে বক্তৃতা করেন আরতা’র ফাউন্ডার এম এ মুনিম সালিক। তিনি বলেন, আরতা রেস্টুরেন্টের সাথে কাস্টমারদের যোগসূত্র বাড়াতে ভূমিকা রাখছে। এর এওয়ার্ডস নোমিনেশনের স্কোরিং-এর মার্ক নিভর করবে গুগল, ট্রিপ এডভাইজার এবং কাউন্সিলের ফোড হাইজিন রেইট-ইত্যাদি রিভিউ-এর ওপর। কাস্টমার নোমিন্যাশনে হবে একটি প্রধান বিষয়। যেখানে ফোড, সার্ভিস মান এবং ভ্যালু ফর মানির বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে।আরতা জাজ গ্রাহাম টেইলর বলেন, কোকিং-এ পারদর্শিতা দেখাতেই হবে শেফদের। খাবারের ফ্লেবার, প্রেজেন্টেশন ও এরোমা ইত্যাদির দিকে বিশেষ নজর দেবেন জাজরা। এর মাধ্যমে ইন্ড্রাস্ট্রি উপকৃত হবে। পরিবর্তন এবং নতুনত্ব আনতে সক্রিয় হবেন শেফ এবং রেস্টুরেন্ট মালিকরা।

এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আরতা এম্বেসেডর ক্যানারি ওয়ার্ফের কমিউনিটি এফেয়ার্স ডিরেক্টর জাকির খান, আরতা’র জাজ ক্যাম্ব্রিজ রিজনাল কলেজের লেকচারার গ্রাহাম টেইলর, এক্স্রিকিউটিভ শেফ চাদ রহমান, আরতা-র কো ফাউন্ডার কদরুল ইসলাম, ঢাকার ডেফোডিল অক্সফোর্ড সেন্টার অব এক্সেলেন্স ইন হসপিটালিটির ইউকে পার্টনার আজিজুর রহমান ও এক্সিকিউটিভ টিম মেম্বার শাহনুর খান এবং হুমায়ুন রশীদ।
জাকির খান বলেন, বিশেষজ্ঞদের জাজিং-এর পাশাপাশি রেস্টুরেন্ট কাস্টমারদের মনোনয়নের ভিত্তিতে আরতা এওয়ার্ড কালচারে নতুন একটি মাত্রা তৈরী করছে। বিশেষ করে এর ট্রফি আলাদা একটি আকর্ষন তৈরী করেছে। এবারও গ্র্যান্ড ফিনালের মাধ্যমে রিজিওনাল রেস্টুরেন্ট অব দ্য ইয়ার ও শেফ অব দ্য ইয়ার ঘোষণার পাশাপাশি প্রদান করা হবে একটি ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ান অব দ্য চ্যাম্পিয়ানস এওয়ার্ডস। সোনা খচিত এই ট্রফির মূল্য হবে প্রায় ৫০ হাজার পাউন্ড।অনুষ্ঠানে গত দু বছরের ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ান অব দ্য চ্যাম্পিয়ানস যথাক্রমে ক্যাম্ব্রিজের কারী পেলেস এবং বল্টনের হট চিলিস-এর ডিরেক্টররা অংশ নেন। তারা তুলে ধরেন এই বিজয় কীভাবে তাদের ব্যবসায় বিশাল উন্নতি এনেছে। দিয়েছে বিবিসিসহ বিভিন্ন মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার অনন্য কাভারেজ।

সোমবার ৬টায় টাওয়ার হীলের মিলেনিয়াম পিয়ার থেকে যাত্রা শুরু করে বিশাল পরিসরের রিভার ক্রুজ ডিক্সি কুইন। যাত্রার প্রারম্ভেই টাওয়ার ব্রিজ খুলে যাওয়ার দৃশ্য ক্রুজ অভিযাত্রীদের দারুণভাবে উদ্বেলিত করে, হর্ষধ্বনির মাধ্যমে সবাই তাদের আনন্দের প্রকাশ ঘটান। অতঃপর থেমস’র দু’কূলের মনোরম দৃশ্য দেখিয়ে দেখিয়ে তরী ছুটে চলে গ্রিনিচ অভিমুখে। অতঃপর রাত ১০টার কিছু আগে যাত্রাস্থল টাওয়ার হিলে এসে নোঙ্গর করে ডিক্সি কুইন।এতে বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট ড: ওয়ালি তছর উদ্দিন এমবিই, বিসিএ সেক্রেটারী মিঠু চৌধুরী, সাবেক সেক্রেটারী ওলি খান এমবিই, বিবিসিএ প্রেসিডেন্ট সেলিম চৌধুরীসহ ইন্ডাস্ট্রির বিপুলসংখ্যক নেতৃবৃন্দ ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আরতা টিম মেমবার ও শেফ অন লাইনের ডিরেক্টর সুফি মিয়া, মার্কেটিং ডিরেক্টর আখতারুজ্জামানও উপস্থিত ছিলেন। মঞ্চে বক্তব্য দিয়ে সবাইকে উজ্জীবিত করেন ব্রিটিশ-বাংলাদেশী বক্সার খালিদ আলী। দীর্ঘ ক্রুজ অভিযাত্রায় গানে গানে সবাইকে মাতিয়ে রাখেন শিল্পী রাজা কাশিফ ও রুবাইয়াত।বক্তৃতা, গ্রুপ আলোচনা এবং গান ও ফানের এক পর্যায়ে সামুদ্রিক সুস্বাদু মাছ দিয়ে চলে ভূরিভোজ।

উল্লেখ্য,২০১৮ সালে বিখ্যাত ও-টু এলাকার ইন্টারকন্টিন্যান্টাল হোটেলে আরতা’র প্রথম এওয়ার্ড সিরিমনি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৫০ হাজার পাউন্ড মূল্যের আরতা চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ছাড়াও রেফেল ড্র-তে ছিলো নতুন একটি কার পুরস্কার। ২০১৯ ওয়েস্টমিনিস্টারের পার্ক প্লাজার ছিলো দ্বিতীয় আয়োজন। কোভিডকালের দীর্ঘ বিরতির পর এবছর আবার শুরু হতে যাচ্ছে ইতোমধ্যে কারি ইন্ডাস্ট্রিতি আলাদা অবস্থান করে নেওয়া আরতা।

You might also like