ব্রিটিশ ভিসা অফিস ঢাকায় ফিরিয়ে আনার আহবান ড. মোমেনের
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডন: বৃটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বৃটিশ ভিসা অফিস ঢাকায় ফিরিয়ে আনার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। পোর্স্টসমাউথ ইউনিভার্সিটি আয়োজিত “সবার সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়” শীর্ষক এক সেমিনারে এই আহবান জানান ড. মোমেন। সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন পোর্টসমাউথ সিটি পরিদর্শন করেন। এ সময় পোর্স্টসমাউথ ইউনিভার্সিটির আমন্ত্রণে “সবার সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়” শীর্ষক সেমিনারে এই দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ভিসা জটিলতায় প্রায় ৩ হাজার ছাত্র বৃটেনে ঠিক সময় আসতে পারছেনা। এসময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সারা পৃথিবীতে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে বেড়ায়, শত্রুদের সাথেও বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়। আর এটাই আমাদের পররাষ্ট্রনীতি।’ বৃটিশ ভিসা অফিস ঢাকাতে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে তাঁর কথা হয়েছে বলে বক্তৃতায় জানান তিনি।
তিনি বলেন, পোর্টসমাউথ এবং সিলেট সিটির মধ্যকার সিস্টার সিটি চুক্তি হয়েছে গত ২০১৯ সালে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, পোর্টসমাউথ হারবার, নেভল বেজ, এবং পোর্টসামাউথ ইউনিভার্সিটির সহযোগীতা পেলে নানা উন্নয়নকর্মে উপকৃত হবে উভয় দেশ। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার ইতিবাচক।
এদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিটির লর্ড মেয়রের আমন্ত্রণে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায়ও মিলিত হন।
দিনের শুরুতেই পোর্টসমাউথ বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে অনুস্টিত সভায় যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পোর্টসমাউথ শহর ছোট হলেও প্রায় ১০ হাজারের মতো বাংলাদেশী আছেন এই শহরে। শহরের নানা স্থাপনা ঘুরে দেখে অভিভূত হন পররাষ্ট্র মন্ত্রী।
পোর্স্টসমাউথ ইংল্যান্ডের একটি অন্যতম পর্যটন নগরী। তবে এ শহরকে বৃটেনের বন্দর নগরীও বলা হয়। রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস, মেরী রোজ শিপের কাহীনি জ্ঞানপিপাসু পর্যটকদের যেভাবে আকৃষ্ট করে তেমনি হারবার পাড়ে ঘূরে বেড়ানোর দৃশ্য পর্যটকদের বার বার টানে পোর্টসমাউথের দিকে। রয়েছে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়, নেভল বেজ , পোর্টসহ ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ।
সম্ভাবনা আছে এমন দেশে বাণিজ্য বিস্তারে বাংলাদেশ সরকার ইতিবাচক দৃষ্টিভংগি নিয়ে কাজ করছে বলে অনুষ্ঠানে জানান যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম।
সন্ধ্যা নামতেই পোর্টসমাউথ সিটির দীর্ঘ লম্বা স্পিনিকার টাওয়ার সেজে যায় বাংলাদেশের পতাকা লাল সবুজ রঙে। লন্ডন থেকে মাত্র ৭২ মাইল দূরে ইংল্যান্ডের দক্ষিণদিকের শহরে লাল সবুজের হাতছানি সত্যিই গর্বের।