ব্রেক্সিট : ঘোষিত সময়ে ইইউ-ব্রিটেন বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা কম
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডনঃ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা অত্যন্ত কম বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।এজন্য ইইউ’কে দোষারোপ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মুখপাত্র।বলেছেন,ইইউ কঠিন ইস্যুগুলো আগে সমাধানে জোর দিচ্ছে। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।খবরে বলা হয়, আগামী সপ্তাহে লন্ডনে ব্রেক্সিট নিয়ে ইইউ ও ব্রিটেনের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগ দিয়ে ইইউ’র প্রধান ব্রেক্সিট বিষয়ক আলোচনাকারী মিশেল বার্নিয়ারের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন ব্রিটেনের প্রধান ব্রেক্সিট আলোচনাকারী ডেভিড ফ্রস্টের।
চলতি বছরের শুরুতেই আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ থেকে বেরিয়ে গেছে ব্রিটেন। ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে ‘ট্রানজিশন পিরিয়ড’। অর্থাৎ এ সময়ের মধ্যে দু’পক্ষের সম্পর্ক নির্ধারণে সব ধরনের চুক্তি শেষ করার কথা রয়েছে। এর আগ পর্যন্ত বাণিজ্য বিষয়ে ইইউ’র নীতিমালাই মেনে চলবে ব্রিটেন।কিন্তু এখন অবধি দু’পক্ষের মধ্যে চুক্তি আলোচনায় তেমন অগ্রগতি দেখা যায়নি। বরিস জনসনের সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইইউ বারবার তাদের রাষ্ট্রীয় সহায়তার মতো কঠিন বিষয়গুলো সমাধানের দিকে জোর দিচ্ছে। এ বিষয়গুলো সমাধান না করে অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করতে চাইছে না। ফলে অগ্রগতিও হচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমরা চাইছি সহজ বিষয়গুলো আগে মিটমাট করে ফেলতে। যাতে আলোচনায় গতি সৃষ্টি হয়। উভয় পক্ষের জন্যই ঘনিয়ে আসছে। দ্য গার্ডিয়ান জানায়, ইইউ বেশ আগ থেকে মাছ ধরার নীতিমালা ও রাষ্ট্রীয় সহায়তার বিষয়গুলোর সমাধান চাইছে।ইইউ কর্মকর্তারা বলেছেন, ব্রিটেনের অবস্থান নিয়ে ক্ষিপ্ত তারা। বলেন, ব্রিটেন এখনও তাদের রাষ্ট্রীয় সহায়তার প্রস্তাবও আলোচনায় তুলতে পারেনি। তারা বলেন, আমরা যদি না-ই জানি যে, আগামী বছর ব্রিটেনের রাষ্ট্রীয় সহায়তা কেমন হবে তাহলে আমরা এটা আলোচনা করব কীভাবে?
প্রসঙ্গত, জনসনের সরকার রাষ্ট্রীয় সহায়তার ওপর কোনো ছাড় দিতে ইচ্ছুক নয়।গত নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি বলেছিলেন, ব্রেক্সিটের একটি বড় সুবিধা হবে, দেশের ব্যবসাগুলোকে আরও দ্রুত সহায়তা করতে পারবে সরকার। সে প্রসঙ্গ টেনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জনসনের মুখপাত্র বলেন, দেশীয় বিষয়ে আমাদের বিস্তারিত পদক্ষেপ যথাসময় নেয়া হবে।